দেশে ফিরে এল। তখন দেশের লোক তার সাজ পোষাক, জাঁকজমক দেখে আর চোখ ফিরাতে পারে না।
পরদিন রাজামশাই আবার তাঁর তিন ছেলেকে ডেকে বল্লেন, “এসত দেখি, তোমরা কে কি কাপড় এনেছ।” ছেলেরা একে একে তাদের কাপড় এনে দেখাতে লাগ্ল। বড় ছেলে যে কাপড় এনেছে সেখানা একটা আংটির ভিতর দিয়ে ঢুকে গেল, কিন্তু ছুঁচের ভিতর ঢুক্ল না। মেঝ ছেলের কাপড় খানা একটা মোটা চট সেলাই কর্বার ছুঁচের ভিতর দিয়ে গেল। সকলে ভাব্ল মেঝ ছেলেই রাজা হবে। কিন্তু রাজামশাই কর্লেন কি, তাঁর বাড়ীতে সকলের চেয়ে যে সরু ছুঁচ, সেই ছুঁচ খুঁজে আন্তে বল্লেন। সে ছুঁচের ভিতর দিয়ে আর সে-কাপড় গল্ল না। তখন ছোট ছেলে এসে তার বাদামটি তাঁর হাতে দিল। তিনি সেটা খুল্লেন। কিন্তু কই, তার ভিতর ত কাপড় নেই, শুধু একটা কুলের বিচি। রাজা কুলের বিচি খুল্লেন, তার মধ্যে থেকে একটা মটর বার হ’ল; মটরের ভিতর ধান, ধানের ভিতর চাল! মাণিক মনে মনে বল্তে লাগল, “বিড়ালরাণী, তুমি আমার বন্ধু হয়ে আমাকে ফাঁকি দিলে নাকি?” অমনি তার মনে হ’ল যেন তার হাতে আস্তে আস্তে বেড়ালে আঁচড়াচ্ছে। সে বুঝতে পার্ল বিড়ালরাণী বল্ছে, “কোন ভয় নেই।” তারপর রাজা সে ধানটি ভাঙ্গলেন। তখন তার ভিতর থেকে এমন পাতলা এক খানা কাপড় বার হল যে তাকে ভাল করে চোখে দেখাই যায় না। আর তাতে কি চমৎকার কাজ! সকলের