বল্তে চারদিক থেকে মানুষ এসে সেই ঘরে ঢুক্তে লাগ্ল। এত দিন তারা বিড়াল হয়ে ছিল, আর সেই সুন্দর মেয়েটি ছিল সেই বিড়ালদের রাণী, সেই বিড়ালনী। আজ তারা আবার মানুষ হয়েছে, আর অমনি তাদের রাণীকে আদর কর্তে ছুটে এসেছে। যে যার বিড়ালের চামড়াখানি আবার হাতে ক’রে মাণিককে দেখাতে এনেছে। তখন সকলে মিলে, তাদের রাণী, সেই মেয়েটিকে নিয়ে খুব আনন্দ কর্ল।
তার পর সেই মেয়েটি মাণিককে বল্ল, “এখন আমার কথা শােন। এতদিন বলিনি, এইবার বলি। আমি এক রাজার মেয়ে। আমি যখন খুব ছােট্ট ছিলাম, তখন একদিন আমার মা শুন্তে পেলেন যে, আমাদের বাড়ীর কাছে এক বনের ভিতরে একটা খুব আশ্চর্য্য বাড়ী আছে। শুনে মা অনেক লােক নিয়ে সেই বাড়ী দেখ্তে গেলেন। আমাকে নিয়ে গেলেন না। বাড়ীটার চারদিকে খুব উঁচু দেয়াল, আর সব দরজা বন্ধ। তাঁরা গিয়ে সেই দরজায় কত ধাক্কা দিলেন, কিন্তু কেউ দরজা খুলে দিল না। তখন মা দরজার ফাঁক দিয়ে চেয়ে দেখলেন যে সেই বাড়ীর ভিতরে একটা প্রকাণ্ড বাগান, আর তা’তে নানারকম আশ্চর্য্য ফল হ’য়ে রয়েছে, সে রকম ফল আমাদের দেশে কোথাও নেই। এ সব দেখে তাঁর ভারি লােভ হ’ল। তাই তিনি ভাব্লেন দেওয়াল টপ্কিয়ে ভিতরে যাবেন। তাঁর কথায় সকলে মই নিয়ে এল, কিন্তু তাঁরা যতই বড় বড় মই লাগান, দেয়াল ততই আরও উঁচু হয়ে হ’য়ে যায়। এমনি করে সন্ধ্যা হ’য়ে গেল। তখন