তাঁরা বল্লেন, “আজ থাক, কাল দেখ্ব।” এই ব’লে তাঁরা সে রাত্রে সেই বনেই রইলেন।
রাত দুপুর হয়েছে। সকলে ঘুমিয়েছে। মাও ঘুমিয়েছেন। এমন সময় হটাৎ তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল। চেয়ে দেখেন এক বুড়ী ব’সে ব’সে তাঁর কাণে চিম্টি কাট্ছে। মার ঘুম ভাঙ্গতেই বুড়ী বল্ল, ‘বটে! আমার বাগানে ঢুকবার চেষ্টা হচ্ছে! সে অমনি হবে না। যদি তোমার মেয়েটিকে আমাকে দাও, তবে ঢুক্তে পাচ্ছ, না হ’লে নয়।” মা কত খাবার, কত টাকা, কত জিনিষ দিতে চাইলেন, বুড়ী কিছুই নিল না। মা’রও বড্ড লোভ হয়েছিল, সে লোভ তিনি সাম্লাতে পার্লেন না। কাজেই শেষে বল্লেন, “আচ্ছা, আমার মেয়েকেই দিব।”
বুড়ী তখন তাঁকে তা’র বাগানে নিয়ে গিয়ে খুব পেট ভ’রে ফল খাওয়াল, আর বাড়ী ফির্বার সময় গাড়ী বোঝাই ক’রে তাঁর সঙ্গে ফল দিল। বাড়ীতে আমাকে দেখে মা’র মনে ভারি দুঃখ হল। তিনি খুব কাঁদ্তে লাগ্লেন। কিন্তু এখন আর কাঁদ্লে কি হবে?।
কিছুদিন পরে পাঁচটা বেঁটে বেঁটে ভূতের মতন লোক আমাকে বুড়ীর বাড়ীতে নিয়ে যেতে এল। তখন বাড়ীর সকলে চীৎকার ক’রে কাঁদ্তে লাগ্ল আর সেই লোক গুলোকে মার্তে গেল। কিন্তু তাদের মারে কা’র সাধ্যি! তলোয়ার দিয়ে কেটে দু’খানা কর্লেও তা’রা আবার জোড়া লেগে বেঁচে ওঠে। তা’রা আমাকে জোর ক’রে নিয়ে বুড়ীর বাড়ীতে পালিয়ে গেল। বুড়ীরা তিন