বােন ছিল। তা’রা আমাকে বল্ল, “দেখ, যতদিন আমাদের কথা শুন্বে আর পালাতে চাইবে না, ততদিন তােমাকে খুব যত্ন করব কিন্তু পালাতে গেলেই ভয়ানক সাজা পাবে!”
আগে তারা আমাকে যত্ন কর্ত; আমি কোন জিনিষ চাইলেই আমাকে এনে দিত। তারপর একদিন একটা বাক্স ঘাঁট্তে ঘাঁট্তে আমি আমার হাতের এই বালাটা পেলাম, যাতে এই ছবিটি ঝুল্ছে। বালা নিয়ে আমি বুড়ীকে গিয়ে জিজ্ঞাসা কর্লাম, “এটা কিসের ছবি?” বুড়ী আমার কথায় রেগে বল্ল, “ওটা একদেশের বাঁদরের ছবি।” আমি বল্লাম, “বাঃ, কি সুন্দর! এরকম বাঁদর কোথায় থাকে? আমি দেখ্ব।’ বুড়ী বল্ল “খবরদার! তা’ হ’লে ভারি মুস্কিল হবে কিন্তু।”
তার পর থেকে আমার আর কিছু ভাল লাগ্ত না। কেবল ভাবতাম কি করে পালিয়ে যা’ব; কি ক’রে সেই বাঁদরদের দেশে যাব। একদিন সত্যি সত্যিই পালাতে গেলাম। দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছি, প্রায় বাড়ীর দরজার কাছে এসে প’ড়েছি, এমন সময় দেখ্লাম, সর্ব্বনাশ! সানেই বুড়ীরা তিন বােন! তারা আমাকে দেখে চোখ রাঙ্গিয়ে বলল, “বটে। তবে রাে’স দেখাচ্ছি!” এই বলে তারা আমাকে একটা শাদা বেড়াল বানিয়ে দিল। আর আমার দেশ থেকে অনেক লােক ধ’রে এনে তাদেরও বেড়াল বানিয়ে আমার সঙ্গে রেখে দিল। দিয়ে আমাকে বল্ল যে, “তুমি এই সব লােক নিয়ে এই বাড়ীতে থাক্বে। আর ঐ যে বাঁদরের ছবি দেখেছ, যদি কখন ঠিক সেই রকম দেখ্তে একটা বাঁদর এসে।