গোয়ালে গিয়ে ছাগলের গায় হাত বুলাচ্ছে আর বল্ছে, ছাগল আজ তুমি খুব ভাল করে খেতে পাবে। আজ আমি নিজে নিয়ে তোমাকে খাওয়াব।” তারপর ছাগলটাকে নিয়ে মাঠে ছেড়ে দিল, আর সমস্ত দিন ধ’রে সেটা ঘাস খেল! সন্ধ্যর সময় দরজী তাকে জিজ্ঞাসা কর্ল, “ছাগল আজ ত তোমার পেট ভরেছে? আজত তোমাকে কেউ ফাকি দেয় নি?”
তাতে সেটা বল্ল, “খুব পেট ভরেছে; পেটে আর জায়গা নাই! ব্যা—ব্যা! “একথা শুনে দরজী যেই সেটাকে নিয়ে বাড়ী চলেছে’ অমনি সেটা বল্ছে কি, “আমার একটুও পেট ভরেনি। একটুও ভরেনি, ব্যা—ব্যা!”
তখন আর দরজীর কিছু বুঝ্তে বাকী রইল না; আর তার রাগটা যে হল! সে দুই চোখ লাল করে দাঁত কড়মড়িয়ে বল্ল, “বটে তোর এই কাজ! এমনি ক’রে রোজ রোজ তুই ফাঁকি দিয়েছিস! দাঁড়া তোকে দেখাচ্ছি!” বলে সে সেই দুষ্ট ছাগলটার মাথা চেঁচে একেবারে নেড়া করে সেটাকে বাড়ী থেকে দূর ক’রে দিল। এখন দরজী একলা। তার ছেলেরাও নেই। ছেলেদের মিছিমিছি তাড়িয়ে দিয়ে তার মনে ভারি দুঃখ হল। কিন্তু এখন আর দুঃখ কর্লে কি হবে? ছেলেরা কোথায় চলে গিয়েছে, কে তাদের খুঁজে আন্বে! বুড়ো ভাবে, “না জানি তারা কত কষ্ট পাচ্ছে।”
এদিকে ছেলেদের কিন্তু তেমন কিছু কষ্ট হয়নি। বড় ছেলেটি এক তাঁতির কাছে গিয়ে রয়েছে; সেখানে সে কাপড়