বুনতে শিখ্ছে। সে খুব মন দিয়ে কাজ শেখে তাই তাঁতি তাকে খুব ভালবাসে। এক বছরে সে খুব কাপড় বুনতে শিখ্ল। তখন একদিন তাঁতি তাকে বল্ল, “তোমার ত সব কাজ শেখা হয়ে গিয়েছে, তুমি আর এখানে থেকে কি করবে? এখন তুমি নিজেই করে খেতে পার্বে।” ব’লে তাঁতি তাকে একখানা চাদর দিল। সে বল্ল, “আমি চাদর নিয়ে কি করব?”
তাতি বল্ল, “এখানা তুমি নাও, এতে তোমার অনেক উপকার হবে। এই চাদর বিছিয়ে যখনি বল্বে ‘চাদর আন ত’ অমনি দেখ্বে চাদরের উপর সব ভাল ভাল খাবার জিনিষ এসে হাজির হয়েছে। তা শুনে দরজীর ছেলে খুব খুসী হয়ে চাদর নিয়ে তাঁতির বাড়ী থেকে চলে এল। এখন আর তার কোনও খাবার ভাবনা নাই। সে দেশে দেশে ঘুরে বেড়ায়; ক্ষিদে পেলেই চাদর বিছিয়ে বলে “চাদর আনত,” আর অমনি লুচি মণ্ডায় চাদর ভরে যায়। তারপর একদিন তার বাবার কথা মনে পড়্ল। সে ভাব্ল, “বাবাকে বড্ড দেখতে ইচ্ছে কর্ছে; এত দিন তাঁর রাগ চলে গিয়েছে।” এই ভেবে সে বাড়ীর পথে রওনা হল। বাড়ী যেতে পথে এক জায়গায় এক সরাইখানায় রাত্রে থাক্তে হল। সে দিন সে সরাইএ এত লোক হয়েছে যে খাবারে কম পড়ে গিয়েছে।
সরাইওয়ালা ত মহা মুস্কিলে পড়েছে, এত লোককে কি দিয়ে খাওয়ায়। দরজীর ছেলে তখন বল্ল, “তোমাদের কিছু ভাবনা নাই। আমি তোমাদের সকলকে খাওয়াব।” তার কথা