শুনে সকলে ভাব্ল বুঝি সে ঠাট্টা কর্ছে। কিন্তু তাদের সামনে যখন সে চাদর বিছিয়ে বল্ল, ‘চাদর আনত!’ আর চাদর খাবারে ভরে গেল, তখন তারা একেবারে হাঁ করে রইল। সে খাবার খেয়ে তাদের আর খুসীর সীমাই নাই। তেমন খাবার আর তারা কেউ কখনাে খায়নি। তারপর সকলে পেট ভরে খেয়ে ঘুমিয়েছে, দরজীর ছেলেও ঘুমিয়েছে; এমন সময় সেই যে সরাই ওয়ালা সে ঘুমােয়নি—সে অন্ধকারের ভিতর চুপি চুপি উঠে কি যেন কর্ছে। সেই চাদর খানা দেখে অবধিই সে বেটা খালি ভাবছিল ওখানা চুরি করতে পার্লে ওর ভারি সুবিধা হবে। ওর ঠিক ঐ রকমের দেখ্তে একখানা চাদর আছে। অন্ধকারের ভিতরে সেইখানা হাতড়ে বার করে নিয়ে বেটা দরজীর ছেলের কাছে এল। সে তার চাদর খানা গায়ে দিয়ে ঘুমুচ্ছে, সরাই ওয়ালা হতভাগা সেখানা আস্তে আস্তে খুলে নিয়ে নিজের চাদরটা তার গায়ে ঢাকা দিয়ে দিল।
দরজীর ছেলেত এর কিছুই জানে না। সকালে উঠে সেই সরাইওয়ালার চাদরটাকে সে মনে কর্ল তার নিজেরি চাদর। সেইটাকে বেশ করে পুঁটুলীতে বেঁধে নিয়ে সে বাড়ী চলে এল।
তাকে ফিরে পেয়ে বুড় দরজী খুব খুশী হল, আর জিজ্ঞাসা কর্ল, “এতদিন কোথায় ছিলে? কি কর্ছিলে?” সে বল্ল, “আমি তাঁতির কাজ শিখ্ছিলাম।” দরজী বল্ল, “বেশ করেছ। বাবা, বেশ করেছ। আমি এখন বুড়ো হয়েছি, চোখে দেখ্তে