পাইনা, ভাল করে সেলাইও কর্তে পারি না। তুমি যদি নিজে করে খেতে পার তবে আর কষ্ট থাকে না। আচ্ছা দেখি তুমি কি রকম কাপড় বুন্তে শিখেছ?”
ছেলেটি পুঁটুলীর ভিতর থেকে তার হাতের বোনা কাপড় বার করে তার বাপকে দেখাল। তারপর সেই চাদরটা দেখিয়ে বল্ল, “বাবা এ চাদরটা দেখতে মোটা, কিন্তু এর ভারি গুণ। চাদর খানা বিছিয়ে যদি বলি ‘চাদর আনত!’ অমনি দেখ্বে কত রকম খাবার এসে হাজির হবে। তুমি আজ রাত্রে তোমার সব বন্ধুদের নিমন্ত্রণ কর।”
দরজী ত সে কথা শুনে ভারি খুসী হয়ে তখনি গিয়ে তার বন্ধুদের বল্ল “তোমরা সবাই আজ রাত্রে আমাদের বাড়ী খাবে।” তারাও সকলে মিলে সন্ধ্যা হতে না হতেই দরজীর বাড়ী এসে হাজির হল।
খাবার সময় হয়েছে পাত পীড়ি সব ঠিক। দরজীর ছেলেও তার চাদর এনে মাটিতে বিছিয়েছে। সকলে চেয়ে দেখ্ছে, এর পর কি তামাসা হয়। কিন্তু সেত আর সে চাদর নয়, তাতে আর কি করে তামাসা হবে। দরজীর ছেলে কত রকম করে বল্ছে “চাদর আনত!” “চাদর আনত।” “চাদর আনত!” সে কথায় এক মুঠো মুড়িও আস্ছে না। চাদর যেমন খালি তেমনি খালি পড়ে আছে! কাজেই সে রাত্রে দরজীর বন্ধুদের না খেয়েই বাড়ী ফিরে যেতে হ’ল।
দরজীর ছেলের ভারি দুঃখ হল তাতে আর ভুল কি। সে