রাগ কর্বেন। কাজেই সে অনেক কষ্টে বাঁ হাতের দু’আঙুলে ব্যাঙের ঠ্যাং ধরে ঝুলিয়ে তাকে তার ঘরে নিয়ে গেল। তাপর তাকে এক কোণে ফেলে দিয়ে, নিজে গিয়ে বিছানায় শুয়ে রইল।
ব্যাঙ্ সেই কোণ থেকে থপাস্ থপাস্ করে এসে তাকে বল্ল, “খাটে উঠিয়ে দাও; ঘুমাব।” তখন রাজার মেয়ে যারপরনাই রেগে বিছানাথেকে উঠে বল্ল, “দাঁড়াও তোমাকে ভাল করে শোয়াচ্ছি।” এই বলে, সে ব্যাঙ্টাকে ধরে ধাঁই করে দেওয়ালের উপর এমনি এক আছাড় মার্ল যে কি বল্ব! অন্য ব্যাঙ্ হলে নিশ্চয়ই তাতে ভট্ করে ফেটে মরে যেত। কিন্তু সে ব্যাঙ্টা তার কিছু না ক’রে, অমনি ভারি সুন্দর একটি রাজার ছেলে হয়ে গেল। তা ত হবেই। আসলে ত সে ব্যাঙ্ ছিল না, সে রাজার ছেলেই ছিল। কোথাকার এক দুষ্টু বেঁটে কালো কুঁজো ডাইনী বুড়ী নাকি তাকে ব্যাঙ্ বানিয়ে দিয়েছিল।
পরদিন সকালবেলা সেই রাজার ছেলের দেশ থেকে মস্ত আট ঘোড়ার গাড়ী এলো। ঘোড়াগুলো সব শাদা, আর তাদের মাথায় শাদা পালকের ঝুটী। সেই গাড়ী করে রাজার ছেলে রাজার মেয়েকে দেশে নিয়ে গিয়ে, তার রাণী কর্ল।