ছেলে তখন জামার ভিতর হাত দিয়ে দেখে আর মােহর নাই; গাধাটাকে সে আস্তাবলে বেঁধে রেখে এসেছে সেই খানে গিয়ে তা’র কাছ থেকে মােহর আন্তে হবে, তাই সে সরাইওয়ালাকে বল্ল, “একটু দাঁড়াও আমি এখনি আস্ছি।” বলে সে তাড়াতাড়ি আস্তাবলে গেল, দুষ্ট সরাইওয়ালাও যে চুপি চুপি চুপি তার পিছু পিছু গিয়েছে তা সে বুঝতে পার্ল না।
আস্তাবলে গিয়ে সে দরজা বন্ধ করে গাধার কাছ থেকে মােহর বার করে নিল। সে দরজায় যে একটা ফুটো ছিল তা সে দেখ্তে পায়নি। সরাইওয়ালা কিন্তু সেই ফুটোর ভিতর দিয়ে সবই দেখে নিল। আর ভাব্ল যে “একটা চাদর ত পেয়েছি, এই গাধাটাও নিতে হবে।”
এই ভেবে সে চুপি চুপি ঘরে ফিরে এল; দরজীর ছেলে টের পেল না।
ঘরে এসে সরাই ওয়ালা সকলকে বেশ করে খাইয়ে সকাল সকাল ঘুম পাড়িয়ে দিল।
তারপর দুপুর রাত্রে উঠে সে দরজীর ছেলের গাধাটি চুরী করে তার জায়গায় আরেকটা গাধা বেঁধে রেখে দিল। সকালে উঠে দরজীর ছেলে সেই গাধাটাকে নিয়েই বাড়ী চল্ল; সেটা যে তার নিজেরটি নয়, তা সে বুঝ্তে পার্ল না। সে বাড়ী এলে দরজী তাকে দেখে খুব খুসী হয়ে জিজ্ঞাসা কর্ল, “এতদিন কি কর্ছিলে?” সে বল্ল, “ধােপার কাজ শিখ্ছিলাম। এই দেখ সেই ধােপা আমাকে একটা গাধা দিয়েছে।”