পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
১২০
গল্পের বই।

তখন সরাইওয়ালা চুপি চুপি উঠে দরজীর ছেলের কাছে এল। দরজীর ছেলে তখন তার থলেটি মাথায় দিয়ে শুয়ে ভারি নাক ডাকাচ্ছে। তা শুনে সরাইওয়ালা ভাব্‌ল, “খুব ঘুমুচ্ছে, এই বেলা থলেটা নিয়ে পালাই!” এই বলে সে থলেটা ধর্‌তে গেল। সে জান্‌ত না যে দরজীর ছেলে একটুও ঘুমােয়নি; মিছিমিছি নাক ডাকাচ্ছে, আর মিটির মিটির চেয়ে দেখ্‌ছে। সরাইওয়ালা থলেতে হাত দিতেই সে বল্‌ল, “হাতুড়ি লাগত!” অমনি আর বেটা যাবে কোথায়! হাতুড়ি থলে থেকে বার হয়ে তাকে ঠকাঠক্ ঠকাঠক্ এমনি ঠুকতে লাগ্‌ল যে ঠুকুনি যাকে বলে! ঠুকুনির চোটে সে ভ্যাড়ার মতন চ্যাঁচাতে লাগ্‌ল, আর বল্‌ল, “মাগাে, গেলুম্; ছেড়ে দাও, আর কর্‌বনা!”

 দরজীর ছেলে তা শুনে হাততালি দিয়ে হাস্‌ছে আর বল্‌ছে “দাঁড়া, আগে চাদরটা আর গাধাটা বার করে নি।”

 তখন সরাইওয়ালা হাত যোড় করে বল্‌ল, “বাবা দোহাই। তােমার। সে চাদর আমি ফিরিয়ে দিচ্ছি; সে গাধা ফিরিয়ে দিচ্ছি, তুমি তােমার ভূতটাকে আমার পিঠ থেকে নাম্‌তে বল।” তখন দরজীর ছেলে “হাতুড়ি থাম,” বল্‌তেই হাতুড়ি গিয়ে থলির ভিতর ঢুক্‌ল। আর সরাইওয়ালাও অমনি চ্যাঁচাতে চ্যাঁচাতে ছুটে গিয়ে চাদর আর গাধা এনে দিল। তারপর দরজীর ছেলে সেই চাদর, গাধা, আর থলে নিয়ে বাড়ী এল। তখন তিন ছেলেকে ফিরে পেয়ে দরজীর ত খুবই আনন্দ। চাদর আর গাধা ফিরে পেয়ে দরজীর বড় দুই ছেলেরও আনন্দ কম