“কাঁপুনি শিখ্তে হবে।”
একজন লোকের দুই ছেলে। বড় ছেলে হারু, সে খুব চালাক। আর ছোট ছেলে কানু, সে বড় বোকা। কাজেই বাড়ীর যত কাজকর্ম্ম বড় ছেলেকেই সব করতে হয়, কিন্তু রাত্রির বেলায় কোথাও যেতে হলে তার ভারি ভয় করে। আর ভূতের গল্প শুনলেই সে বলে “বাবারে! ভয়েতে আমার কাঁপুনি আস্ছে।” তার কথা শুনে ছোট ছেলে কামু মনে মনে ভাবে,“তাইত! কাঁপুনি কাকে বলে তা ত জানিনা! না জানি সেটা কি রকম জিনিষ!”
একদিন কানুর বাবা তাকে ডেকে বল্ল, “দেখ, তুই এত বড় হ’লি এখনও কিছু করতে শিখ্লি না। এরপর খাবি কি করে? তোর দাদা দেখ্ত কত কাজ করে।” কানু বল্ল, “বাবা আমি একটা জিনিষ শিখ্ব ঠিক করেছি। কাঁপুনি কাকে বলে বাবা? সেইটে শিখ্তে আমার বড় ইচ্ছা করে।” তার বাবা বল্ল, “সে জন্য ভাবনা নেই তুমি আপনিই শিখ্বে। কিন্তু তাতে কি আর পেট ভর্বে?”
পরদিন তাদের গুরুঠাকুর এসেছেন, আর তাদের বাবা তাঁর কাছে দুঃখ কর্ছে যে কানুটা কোন কাজ শিখ্ল না, কেবল বলে কিনা, “কাঁপুনি কি? কাঁপুনি শিখ্ব।” একথা শুনে গুরুঠাকুর বল্লেন “আমার বাড়ী পাঠিয়ে দিও, আমি খুব করে তাকে কাঁপুনি শিখিয়ে দেব।”