বলি যে আমিই মেনকা, আর মেনকা আমার ঝি, তবে কে ধর্বে?”
এর একটু পরেই মেনকার ভারি জল তেষ্টা পেয়েছে। তাই সে ঝিকে বল্ল, “ঝি একটু জল এনে দাও।” ঝি তাতে ভারি বিরক্ত হয়ে, মুখ নেড়ে বল্ল, “কেন নিজে নিয়ে খেতে পার না? আমি কি তােমার ঝি? আমি জল টল দিতে পার্ব না।” মেনকা বেচারী বড় ভালমানুষ, কাউকে কিছু বলে না। সে নিজেই ঘােড়া থেকে নেমে জল খেতে গেল। অমনি সেই হতভাগী ঝি কর্ল কি তাড়া তাড়ি তা’র ঘােড়াথেকে নেমে মাদারির পিঠে চড়ে বস্ল। মেনকাকে দেখে সে বল্ল, “এ আমার ঘােড়া। তুমি ঐ ঘােড়ায় চড়ে যাবে। তােমার পােশাক খুলে আমাকে দাও, তুমি আমার পােষাক পর। আমি বল্ব যে আমিই রাজার মেয়ে, আর তুমি আমার ঝি। তুমি তা’তে ‘না’ বল্তে পার্বে না। বল, ‘না’ বল্বে না, নইলে তােমাকে মেরে ফেল্ব।”
মেনকা আর কি করে, সে ঝির কথায়ই রাজি হ’ল। তারপর ঝির পােষাক প’রে সে ঝির ঘােড়ায় গিয়ে উঠ্ল। তার মনে মনে ভারি দুঃখ হ’ল কিন্তু কি কর্বে? মাদারি সব শুনেছে সব বুঝ্তে পেরেছে, কিন্তু কিছু বল্ছে না।
রাজার ছেলে বৌ নিয়ে দেশে ফিরে এসেছে। বুড়াে রাজা দেখ্বার জন্য ছুটে এলেন। তাঁরা ত আর কিছু জানেন না। তাঁরা ঝিকেই বৌ মনে করে আদর ক’রে ঘরে নিয়ে গেলেন। মেনকা বাইরে দাড়িয়ে রইল।