পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/১৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মেনকা।
১২৯

 রোজ মাঠে হাঁস ছেড়ে দিয়ে মেনকা চুল বাঁধ্‌তে বসে। আর কানাই এসে তা’র চুল নিয়ে টানাটানি করে। তখন মেনকা বলে, “বাতাস বাতাস কানাইএর পাগড়ী উড়িয়ে নাও ত।” আর কোথেকে বাতাস এসে কানাইএর পাগড়ী উড়িয়ে নিয়ে যায়।

 তারপর একদিন কানাই এসে রাজাকে বল্‌ল, “রাজামশাই, আমি আর হাঁস চরাতে যাব না।”

 রাজা বল্‌লেন, “কেন রে?”

 কানাই বল্‌ল, “সেই ঝি আমাকে রোজ ভারি নাকাল করে।” রাজা হাস্‌তে হাস্‌তে বল্‌লেন, “কেন, সে তোকে এত কি নাকাল করে?”

 তখন কানাই বল্‌ল, “রোজ মাঠে যাবার সময় সে একটা বটগাছের নীচে দাঁড়ায়। সেই গাছে একটা ঘোড়ার মাথা ঝোলান আছে, সেটাকে সে বলে, মাদারি, মাদারি, কি কর্‌ছ?” তখন মাথাটা বলে, ‘রাজার মেয়ে, আমি তোমার জন্য কাঁদ্‌ছি।’

 “তারপর মাঠে গিয়ে সে রোজ তার লম্বা লম্বা চুল বাঁধ্‌তে বসে, আর বলে, ‘বাতাস, বাতাস, কানাইএর পাগড়ী উড়িয়ে নাও ত!’ আর অমনি কোত্থেকে হু হু করে বাতাস এসে আনার পাগড়ী উড়িয়ে নিয়ে যায়। রোজ আমাকে পাগড়ীর পিছনে দৌড়ে দৌড়ে নাকাল হ’তে হয়।”

 রাজা বলেন, “তাইত, এত ভারি আশ্চর্য্য! আচ্ছা, কাল তুমি যাও, তারপর দেখা যাবে।”