কানুও গুরুঠাকুরের সঙ্গে তাঁদের বাড়ী গেল। সেখানে তার কাজ হ’লো রােজ মন্দিরের সিঁড়ী ঝাঁট দেওয়া।
একদিন দুপুর রাত্রে উঠে গুরুঠাকুর বলেন, “কানু, কাল খুব সকাল সকাল পূজো কর্তে হবে; তুমি এখনি গিয়ে মন্দিরের সিঁড়ী ঝাঁট দিয়ে এসাে।” কানু সিঁড়ী ঝাঁট দিচ্ছে, ঝাঁট প্রায় শেষও হয়ে এসেছে। এমন সময় সে চেয়ে দেখে সকলের উপরের সিঁড়ীতে একটা শাদা মতন কি দাঁড়িয়ে আছে। সে ভাব্লে, “বুঝেছি চোর! নইলে এত রাত্তিরে এ এখানে কি কর্তে এসেছে?” তারপর সে চীৎকার করে বল্ল, “কে এখানে? শীগ্গীর পালাও, না হলে এক ঠেলা মেরে ফেলে দেব।” সে শাদা জিনিষটা কিন্তু কিছু বল্ল না, চুপ করে দাঁড়িয়ে রইল।
তখন কানু ছুটে গিয়ে তাকে এমনি এক ধাক্কা দিল, যে সেটা সিঁড়ী দিয়ে গড়াতে গড়াতে নীচে পড়ে গেল। তাতে কানু খুব খুশী হয়ে, ঝাঁট পাট শেষ করে বাড়ী এসে নাক ডেকে ঘুমুতে লাগ্ল। পরদিন সকাল বেলা সকলে এসে দেখে যে মন্দিরের সিঁড়ীর তলায় গুরুঠাকুর শাদা কাপড় মুড়ি দিয়ে পড়ে আছেন। তা দেখে তারা ভারি আশ্চর্য্য আর ব্যস্ত হয়ে, ধরাধরি করে তাঁকে বাড়ী নিয়ে গেল। তারপর তাঁর গায়ের বেদনা সার্তে অনেকদিন লেগেছিল। এ সব কথা শুনে কানুর বাবা তাকে বল্ল, “তুই দূর হয়ে যা। আমি আর তাের মুখ দেখ্ব না।”