এর মধ্যে একদিন তাঁরা বেড়াতে বেরিয়েছেন,বাড়ীতে ঝির কাছে মেয়েটি রয়েছে। ঝি আবার কেমন বোকা, সে মেয়েটিকে ছেড়ে দিয়ে কখন ঘুমিয়ে পড়েছে। মেয়েটি তখন ঘর থেকে বেরিয়ে সব দেখতে লাগল। রাজার বাড়ী, সে কি যেমন তেমন বড় বাড়ী! তার যে কত মহল, কত ঘর, রাজা নিজেও ভাল ক’রে দেখেন নি। রাজার মেয়ে এতদিন পরে খোলা পেয়ে, যেমন ইচ্ছা ঘরে ঘরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে দেখ্ল একটা ঘরের দরজা বন্ধ, তার উপরে মাকড়সায় জাল করেছে। অনেকদিন যেন সে ঘর খোলা হয়নি। রাজার মেয়ে আস্তে আস্তে দরজা ঠেল্তেই অমনি দরজা খুলে গেল। সেই ঘরের ভিতর এক বুড়ী ব’সে চরকায় সুত কাট্ছিল। রাজার মেয়ে কখন চরকা দেখেনি, সে আশ্চর্য্য হয়ে বুড়ীকে জিজ্ঞাসা কর্ল, “তুমি কি কর্ছ? ওটা কি অম্নি বন্ বন করে ঘুর্ছে?” বুড়ী বলল, “ওটা চরকা। আমি সুত কাটছি।” মেয়েটি বল্ল, “আমি দেখ্ব চরকা কি রকম?” বুড়ী তার হতে চরকা দিল। কিন্তু যেই সে চরকা ঘুরাতে গিয়েছে, অমনি কেমন করে সেই চরকার টেকো তার হাতে বিঁধে গেল, আর তখনি সে সেইখানে শুয়ে ঘুমিয়ে পড়্ল।
ঠিক সেই সময় রাজার বাড়ীর সকলে যে যেখানে ছিল সেইখানেই ঘুমল। রাজা রাণী তখন সব বেড়িয়ে ফিরে এসেছেন, তাঁরাও তাঁদের কাপড় চোপড় শুদ্ধ দরজার কাছেই ঘুমিয়ে পড়্লেন। চাকর বাকর যে যেখানে ছিল সব ঘুমল।