রান্নাঘরে রাঁধুনি আর এক ঝির সঙ্গে ঝগড়া কর্ছিল, তার চুলের মুঠি ধরেই সে ঘুমিয়ে পড়ল। বাড়ীর পোকা মাকড়সাগুলো অবধি ঘুমুতে বাকী রইল না।
তারপর দেখ্তে দেখ্তে সেই ঘুমন্ত বাড়ীর চারদিকে সব কাঁটা গাছ গজিয়ে উঠ্ল। সেই গাছ বড় হয়ে হয়ে শেষে ভয়ানক বন হল; রাজার বাড়ীর চুড়ার নিশান অবধি তাতে ঢেকে গেল। সে বনের ভিতর কেউ ঢুক্তে পারেনা আর বাইরে থেকে রাজার বাড়ীর কিছুই দেখা যায় না; সে রাজার বাড়ীর কথা লোকে ভুলে গেল।
সকলে সেই কাঁটা গাছের বন দেখে ভয় পেত, খুব বড়রা কেউ কেউ খালি বল্ত যে “শুনেছি ঐ কাঁটা বনের ভিতরে এক রাজার বাড়ী আছে, আর তাতে এক চমৎকার সুন্দরী মেয়ে আছে।”
এমনি করে একশ বছর যায়। তখন একদিন এক রাজার ছেলে সেইখান দিয়ে যাচ্ছিলেন! রাস্তায় এক বুড়োকে দেখে তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, “এগুলো কি গাছ?” বুড়ো বল্ল, “এ গুলো ভূতের গাছ। কত বছর থেকে যে এগুলো এখানে আছে—কেউ বল্তে পারেনা। শুনেছি ওর পিছনে নাকি এক রাজার বাড়ী আর তাতে খুব সুন্দর এক রাজার মেয়ে আছে। ঐ গাছগুলো পার হয়ে কেউ সেখানে যেতে পারে না। কেউ কাছে গেলেই গাছেরা তাকে খেয়ে ফেলে।” রাজার ছেলে তা শুনে বল্লেন “আমি যাব।” বুড়ো কত মানা কর্ল, তিনি