তারপর শীতকাল চলে গিয়ে গরম প’ড়ে এল, তখন একদিন যাবার সময় ভাল্লুক বল্ল, “এখন কিছুদিন আমি আস্তে পার্ব না।” মালতী পারুল জিজ্ঞাসা কর্ল, “কেন, কোথায় যাবে?” ভাল্লুক বল্ল, “বনের ভিতর আমার বাড়ী পাহাড়া দিতে যাব। সেখানে আধহাত লম্বা মানুষ আছে, তাদের বামন বলে। শীতকালে তারা মাটীর নীচে তাদের গর্ত্তের ভিতর লুকিয়ে থাকে। গরম পড়্লেই বেরিয়ে আসে, আর যেখানে যা পায় চুরি ক’রে নিয়ে পালিয়ে যায়।”
ভালুক চলে যাচ্ছে ব’লে মালতী আর পারুলের বড় দুঃখ হ’ল। সন্ধ্যার সময় আর তারা কার সঙ্গে খেলা কর্বে? দরজা দিয়ে বার হবার সময় দরজার হুড়কোতে লেগে ভালুকের গায়ের খানিকটা ছাল উঠে গেল। মালতী যেন দেখ্তে পেল যে তার কাল চামড়ার নীচে সোণার মত কি ঝক্ ঝক্ কর্ছে; কিন্তু ভাল ক’রে দেখ্বার আগেই সে দৌড়ে পালিয়ে গেল।
কিছুদিন পর, মালতী পারুল একদিন বনে কাঠ কুড়তে গিয়েছে। সেখানে কতগুলো কাটা গাছ প’ড়ে ছিল। মালতী পারুল দেখ্ল তারি একটার গোড়ায় একটা কি যেন লাফাচ্ছে। কাছে গিয়ে দেখে একটি ছোট্ট বুড়ো বামন! তার চামড়া সব কোঁচকান, চোখ দুটি লাল লাল, আর এই লম্বা পাকা দাড়ি! সেই দাড়ির আগাটা কেমন ক’রে গাছের নীচে চাপা প’ড়েছে। বেচারা তা’ধ’রে কত টানাটানি কর্ছে আর লাফাচ্ছে, কিছুতেই পার্ছে না। তাদের দেখে সেই বুড়ো চোখ রাঙ্গিয়ে বল্ল,