কাজেই কানু আর কি করে, সে আস্তে আস্তে বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেল। সে পথ দিয়ে যায় আর বলে, ‘কাঁপুনি শিখ্তে হবে, কাঁপুনি শিখ্তে হবে’। এমনি করে যেতে যেতে সে আর এক রাজার দেশে চলে গেল। সেখানে একদিন একজন তাকে ব্ল্ল, “কাঁপুনি শিখ্তে চাও? কি করে কাঁপুনি শেখা যায় আমি ব’লে দিতে পারি। ওই যে পাহাড়ের উপর দেখ্ছ ওটা ভূতের বাড়ী। ওখানে অনেক টাকাকড়ি আছে ভূতেরা সে সব পাহারা দেয়। আমাদের রাজা বলেছেন, যে লােক ওখানে এক রাত্রি থাক্তে পার্বে, তার সঙ্গে তাঁর মেয়ের বিয়ে দেবেন। তুমি ওই ভূতের বাড়ীতে এক রাত থাকলে কাঁপুনিও শিখ্তে পারবে, রাজার মেয়েও বিয়ে কর্তে পারবে।”
কানু তখনই গিয়ে রাজামশাইকে বল্ল, “রাজামশাই! আমি তিন রাত ঐ ভূতের বাড়ীতে থাক্ব।” রাজা বল্লেন, বেশ কথা! তিনটি জিনিষ তুমি সঙ্গে নিতে পার। তা তুমি কি কি চাও?”
কানু বল্ল “আগুন জ্বালাবার জন্য কিছু কাঠ, একটা বস্বার চৌকি, আর একটা বড় ছুরি।”
রাজামশাই তখনি অনেক কাঠ, একটা চৌকি, আর একটা মস্ত বড় ছুরি ভূতের বাড়ীতে পাঠিয়ে দেওয়ালেন।
তারপর সন্ধ্যা হতেই কানু একলা একলা সেখানে গেল। তখন শীতকাল ছিল, তাই সে কাঠ দিয়ে আগুন জ্বেলে, ছুরি হাতে ক’রে আগুনের ধারে চৌকি পেতে চুপ করে বসে রইল।