টান্তে নিয়ে চলে গেল। মালতী পারুলও তখন মাছ ধ’রে নিয়ে বাড়ী গেল।
আরেকদিন তাদের মা তাদের বাজারে পাঠিয়েছেন। বাড়ী থেকে বাজার ঢের দুরে। সেখানে যেতে পথে এক জায়গায় বড় বড় পাথর। সেই খান দিয়ে মালতী আর পারুল যাচ্ছিল, আর সেই বুড়াে বামন তখন সেখানে বসে কি যেন কর্ছিল। এমন সময় এক চীল এসে বুড়ােকে ধরেছে,—আর ধর্বি ত ধর বুড়াের দাড়িতেই ধরেছে! মালতী আর পারুল দেখ্ল, যে বুড়ােকে ত নিয়েই যাবে; তাই তারা ছুটে এসে তা’র পা ধরে ফেল্ল। তখন চীল টান্ছে তার দাড়ি ধ’রে, তারা দু’ বােনে টান্ছে পা ধ’রে। সেই টানাটানিতে ফট্ করে বেচারার যে কয়টা দাড়, ছিল তাও ছিড়ে গেল, আর সে ধপাস্ করে মাটিতে প’ড়ে গেল। তাতে বুড়ো এমনি চট্ল যে তার মুখ দিয়ে কথাই বেরুল না। রাগে কাঁপতে কাঁপতে সে একটা থ’লে কাঁধে তুলে নিল; তারপর সেই থলে নিয়ে একটা পাথরের নীচে এক গর্ত্তে গিয়ে ঢুক্ল। মালতী আর পারুল দেখ্ল যে সেই থলে ভরা মাণিক। তখন তারা বাজারে চ’লে গেল।
বাজার থেকে তাদের ফির্তে রাত হয়ে গেল। ফিরে যাবার সময় যখন তারা আবার সেই পাথরগুলাের কাছে এসেছে, তখন বুড়ােও তার সেই মাণিকের থ’লে ঘাড়ে ক’রে আবার গর্ত্তের ভিতর থেকে বেরিয়েছে। সে ভাবেনি যে রাত্রেও আবার সেই পথে কেউ যাবে। তাই সে একটা পরিষ্কার জায়গা দেখে নিয়ে