পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/১৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
মালতী পারুল।
১৪৩

থলে থেকে মাণিকগুলো সব মাটিতে ঢাল্‌ল। মাণিকগুলো ঝক্‌ ঝক্‌ কর্‌ছে; বুড়ো ভারি খুসী হয়ে দুই হাতে সে গুলোকে ঘাঁটছে, আর মালতী পারুল অবাক হয়ে তাই দেখ্‌ছে। এমন সময় বুড়োর চোখ তাদের উপর পড়্‌ল। অমনি রাগে তার মাথার চুল দাঁড়িয়ে উঠ্‌ল, আর সে চোখ মুখ লাল ক’রে দাত খিঁচিয়ে বল্ল, “ওখানে হাঁ করে দাড়িয়ে আছিস্‌ কেন? তোরা কি দেখ্‌ছিস?” এমন সময় একটা ভয়ানক শব্দ হ’ল, আর কোত্থেকে একটা ভাল্লুক এসে বুড়োর গালে এক চড় মার্‌ল। সে চড় খেয়ে বুড়ো ত মাথা ঘুরে মাটিতে প’ড়ে গেছে, আর মালতী পারুল ও প্রাণপণে সেখান থেকে ছুট দিয়েছে। কিন্তু তারা খানিক দূর না যেতে যেতেই শুন্‌ল যে ভাল্লুক তাদের পিছু পিছু ডাক্‌ছে, “মালতী পারুল যেও না। আমি যে তোমাদের বন্ধু।” তখন তারা বুঝ্‌ল যে এটি তাদের সেই চেনা ভাল্লুক। তাই তারা তাকে দেখ্‌বার জন্য ফিরে এল। কিন্তু ফিরে এসে আর তাকে দেখ্‌তে পেল না। তারা শুধু দেখ্‌ল যে একটা ভাল্লুকের চামড়া পড়ে আছে। তার উপর সোণার পোষাক পরা এক রাজার ছেলে দাঁড়িয়ে। সেই রাজার ছেলে তাদের বল্‌লেন যে, ঐ বুড়ো আমাকে ভাল্লুক বানিয়ে দিয়েছিল। ওর দাড়িতে সব যাদু থাক্‌ত। এখন দাড়ি ছিঁড়ে গিয়েছে, তাই আমিও ওর হাত থেকে বেঁচে গিয়েছি।”