বল্ল যে, “নিজে না খেয়ে তােমাকে খেতে দিই আর কি! বয়ে গেছে!” তারপর সে বনের ভিতরে গিয়ে যেই কাঠ কাট্বার কুড়ল উঠিয়েছে, অমনি ধপাস্ করে কুড়লটা তার পায়ের উপর প’ড়ে গেল। কাজেই সেদিন আর সে হেঁটে বাড়ী যেতে পার্ল না।
তারপর কাঠুরের ছােট ছেলে কাঠ কাট্তে গেল। সে বেচারা বােকা বলে তাকে কেউ ভাল বাস্ত না। তার সঙ্গে তার মা জল খাবার দিল খালি বাসি রুটি আর জল। সে দিনও বনের ধারে সেই বুড়ো বসে ছিল। হাঁদারামকে দেখে সে বল্ল “বড় ক্ষিদে পেয়েছে বাবা। কিছু খেতে দেবে?” হাঁদারাম বল্ল, “তাইত, কি করি। আমার কাছে ত কিছু নেই। শুধু বাসি রুটি আর জল আছে। তাতে কি তােমার পেট ভর্বে?”
তারপর তারা দু’জনে মিলে সেই রুটি আর জল ভাগ করে খেল। খেয়ে দেয়ে বুড়াে তা’র উপরে ভারি খুসী হয়ে বল্ল, “আজ প্রথমেই যে গাছটা কাট্বে তার নিচে তুমি একটা খুব ভাল জিনিষ পাবে।” তারপর হাঁদারাম কাঠ কাট্তে গেল। গিয়ে সে একটা গাছ কাটতেই তার ভিতর থেকে একটি সুন্দর সােণার হাঁস বার হ’ল।
সমস্ত দিন কাঠ কেটে সন্ধ্যার সময় সেই কাঠ আর হাঁসটি নিয়ে হাঁদারাম বাড়ী চলেছে আর খানিক দূর যেতেই রাত হ’য়ে গিয়েছে। তখন সে ভাব্ল “রাত্রে আর কোথায় যাব? একটা সরাইয়ে আজ থাকি।” এই ভেবে সে এক সরাই