কিন্তু সেদিকে চেয়েও দেখে না। সে তার হাঁস নিয়ে আর হাঁসের সঙ্গে তাদের তিন জনকে নিয়ে মনের সুখে বাড়ী চলেছে। সেই খান দিয়ে তখন এক গোয়ালা যাচ্ছিল। সে সরাইওয়ালাকে দেখে দৌড়ে এসে তার কাঁধে হাত দিয়ে বল্ল, “কোথায় যাচ্ছ? গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছ নাকি? আমার দুধের দাম দিয়ে গেলে না?” আর দুধের দাম! গোয়ালা এখন তার হাত নিয়েই ব্যস্ত; সেই হাত সরাইওয়ালার কাঁধে আট্কে হাঁদারামের সঙ্গে চলেছে। গোয়ালার যে গোয়ালিনী ছিল, তার মেজাজ ভারি কড়া। সে ঘরের জানালা দিয়ে দেখল দুইটা লোকের সঙ্গে দুইটা মেয়ে যাচ্ছে, তাদের সঙ্গে সঙ্গে তার গোয়ালাও চলে যাচ্ছে। অমনি সে ঝাঁটা হাতে করে দৌড়ে বেরিয়ে এল, আর কিছু না বলে, একেবারে গিয়ে গোয়ালার পিঠে এক ঝাঁটা বসিয়ে দিয়েছে। আর অমনি গোয়ালার পিঠে ঝাঁটা আর ঝাঁটায় গোয়ালিনীর হাত আট্কে গিয়ে সেও হাঁদারামের সঙ্গে চলেছে!
সে দেশের যে রাজা, তার মেয়ে কখ্খন হাস্ত না। তাই রাজা ঢোল পিটিয়ে দিয়ে ছিলেন যে যে সেই মেয়েকে হাসাতে পার্বে সেই তাকে বিয়ে কর্বে?
এই কথা শুনে হাঁদারাম তার হাঁস ঘাড়ে করে, আর তার পিছনে সরাইওয়ালার বড় মেয়ে, তার পিছনে সরাইওয়ালার ছোট মেয়ে, তার পিছনে সরাইওয়ালা, তার পিছনে গোয়ালা, তার পিছনে গোয়ালিনীকে নিয়ে একেবারে রাজার সভায় গিয়ে উপস্থিত