পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
“কাঁপুনি শিখ্‌তে হবে।”

অনেকক্ষণ ব’সে থাকবার পর তার মনে হল যেন চারদিকে কিসের একটা গােলমাল চল্‌ছে। নাকি সুরে, কারা যেন বল্‌ছে, “উঁ-হুঁ হুঁ —ভাঁরী শীঁতঁ। ভাঁরী শীঁতঁ!” কানু তখন চেঁচিয়ে তাদের বল্‌ল “তােরা ত ভারি বােকা রে! দূরে থেকে খালি ভাঁরী শীঁতঁ—ভাঁরী শীঁতঁ করছিস! শীত করে তাে আগুনের ধারে এসে বস্‌না!” অমনি চারদিক থেকে ধুপ্ ধাপ্ করে এই বড় বড় কালাে কালো কুকুর বেড়াল লাফিয়ে পড়তে লাগল। তারা সব ভূত। তাদের চোখগুলাে আগুনের মত জ্বলছে, লাল লাল জীভ্ সব লক্‌লক্ করছে। তারা এসে কানুকে ঘিরে আগুনের চারধরে বস্‌ল, আর তার দিকে চেয়ে চেয়ে ফোঁস ফোঁস করে নিশ্বাস ফেলতে লাগল। কানু কিন্তু তাতে একটুও ভয় পেল না। খানিক পরে ভূতগুলাে তাকে বল্‌ল, “আয় না, খেলা করি।” কানু বল্‌ল, “আগে তােদের নখ দেখিত।” তারা তাদের কালাে কালো থাবা বার করে দেখাল, তাতে এই বড় বড় বাঘের নখের মত নখ। তাই দেখে কানু বল্‌ল, “তােদের যে নখ, খেল্‌তে গিয়ে যদি আঁচড়ে দিস্? আয়, আগে তােদের নখ কেটেদি।” এই বলে সে ছুরি বার করে তাদের নখ কাট্‌তে গিয়েছে, অমনি সব কুকুর বেড়াল কোথায় মিলিয়ে গেল। তারা কিনা ভূত! যে ভয় পায় তাকে তারা মেরে ফেলে, আর যে ভয় পায় না তার কিচ্ছু কর্‌তে পারে না।

 এতক্ষণে কানুর ভারি ঘুম পেয়েছে। সেই ঘরের এক কোণে একটা মস্ত বড় খাটে সুন্দর বিছানা করা ছিল। কানু সেটা