গাছে বারটা মস্ত মস্ত সুন্দর গোলাপ ফুল ফুটে রয়েছে। সে মনে কর্ল, “বাঃ, কেমন সুন্দর ফুল! বারটা ফুল আছে, দাদারা বাড়ী এলে সকলকে একটা একটা দেব, তারা কত খুসী হবে।” এই মনে করে সে ফুলগুলি গাছথেকে তুলে ফেল্ল। এখন হয়েছে কি, তারা যে ঘরে থাক্ত, সে ঘর ছিল এক বুড়ী ডাইনীর। ঘরটাকে আর চারিদিকের বাগানকে ডাইনী যাদু করে রেখেছিল। রাজার মেয়ে ফুল ছিঁড়তেই এক বুড়ী ব্যস্ত হয়ে ছুটে এসে বল্ল, “কি কর্লে! কি কর্লে! ও ফুল কেন ছিঁড়লে? ওই বারটা ফুলে তােমার বারজন ভাইকে যাদু করা হয়েছে। তুমি ফুল ছিঁড়ে ফেলেছ, এখন তােমার ভাইরা সকলে কাক হয়ে গিয়েছে।
সত্যি সত্যি তখনি বারটি ভাই বারটা দাঁড়কাক হয়ে ‘কা—কা’ করতে করতে উড়ে চলে গেল।
রাজার মেয়ে “হায়, হায়! কি কর্লাম!” বলে চীৎকার করে কাঁদতে লাগল। তাকে কাঁদতে দেখে ডাইনী বুড়ী বল্ল, “যদি তুমি এক কাজ কর্তে পার তবে তোমার ভাইরা আবার মানুষ হতে পারে। কিন্তু সে বড় শক্ত কাজ, তুমি কি পারবে?”।
রাজার মেয়ে বল্ল, “হাঁ আমি পারব; বল সে কি কাজ।” ডাইনী বল্ল, “যদি সাত বছর না হেসে আর কা’রাে সঙ্গে একটাও কথা না বলে থাক্তে পার, তবে সাত বছর পরে তােমার দাদারা আবার মানুষ হবে।” রাজার মেয়ে বল্ল “আমি তাই কর্ব। যদি দাদারা ভাল হয় তবে আমি এখন থেকে সাত বছর কারাের সঙ্গে কথা বল্ব না। সেইদিন থেকে সে হাস্তও না কথাও