বনের ভিতরে সুন্দর একটি লতাপাতার ঘর রয়েছে। সেই ঘরটিতে সে তার হরিণ ভাইকে নিয়ে থাক্তে লাগল। রােজ সে হরিণছানার জন্য কচি কচি লতা পাতা দিয়ে নরম বিছানা পেতে দেয়, নিজের হাতে ভাল ভাল ঘাস তুলে এনে তাকে খাওয়ায়, আর রাত্রে তার গায়ে মাথা রেখে ঘুমােয়।
এমনি করে অনেকদিন কেটে গেল। একদিন খুব বাজনা বাজিয়ে ঘােড়ায় চড়ে এক রাজা সেই বনে শীকার কর্তে এলেন। বাজনা শুনে হরিণ বল্ল, “বােন, আমি শীকার দেখতে যাব। বােন বল্ল, “যাও, কিন্তু খুব সাবধান হয়ে থেকো। যখন ফিরে আসবে, তখন দরজা ঠেল্বে আর বল্বে ‘ছােট বােন, দরজা। খােল’, তবেই আমি দরজা খুল্ব, না হলে খুলব না।
এ কথা শুনেই হরিণটি ছুটে শীকার দেখ্তে গেল। রাজামশাই দেখ্লেন, একটি সুন্দর হরিণছানা ছুটে চলে যাচ্ছে, তার গলায় রূপাের হাঁসুলি চক্ চক্ করছে। তাঁর লােকেরাও তাকে দেখ্তে পেল। কিন্তু দেখ্তে না দেখতেই হরিণ যে কোথায় লুকিয়ে পড়্ল, আর কিছুতেই তারা তাকে খুঁজে পেল না।
তার পরদিনও বাজনা শুনে হরিণ শীকার দেখ্তে এলো। সেদিন রাজামশাই তাকে দেখ্তে পেয়েই তাকে ধরবার জন্য ছুটিয়ে লোক পাঠিয়ে দিলেন। | কিন্তু তাকে কি সহজে কেউ ধরতে পারে? রাজার লােক যত ছোটে হরিণও তত ছােটে। রাজার লােক তীর মেরে তার পা থেকে রক্ত বার ক’রে দিল, তবুও তাকে ধরতে পারল না।