সমস্ত দিন এমনি ছুটোছুটি করে, সন্ধ্যার সময় হরিণ ছানা সেই লতার ঘরের কাছে এসে দরজা ঠেলে যেই বল্ল “ছোট বোন দরজা খোল,” অমনি ভিতর থেকে দরজা খুলে গেল; হরিণ ঘরে ঢুকতেই আবার দরজা বন্ধ হয়ে গেল। কে খুল্ল কে বন্ধ করল রাজার লোক তার কিছুই বুঝতে পারল না।
তখন সে রাজার কাছে ফিরে গিয়ে সব কথা তাঁকে বল্ল। তা শুনে রাজা আশ্চর্য্য হয়ে বল্লেন, “কাল আমি দেখব হরিণ কোথায় যায়। কিন্তু কাল তোমরা কেউ ওকে তীর ছুঁড়োনা।” হরিণছানা ঘরে ফিরে গেলে, বোন তার পায়ের রক্ত ধুয়ে ফেলে তাকে বিছানায় শুইয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিল।
পরদিন সকাল হতে না হতেই আবার শীকারের বাজনা বেজে উঠল। অমনি হরিণছানাও আবার শীকার দেখতে যাবার জন্য ব্যস্ত হল। তার বোন কিন্তু সেদিন তাকে যেতে দিতে চাইল না; সে বল্ল, “কাল তোমার পায়ে তীর মেরেছে, আজ হয়ত তোমাকে মেরেই ফেল্বে।” হরিণ বলল, “না, আমি খুব সাবধান হয়ে থাক্ব। ওরা আমার কিছু করতে পারবে না। ওই শোননা কেমন বাজনা বাজ্ছে, আমার বড্ড যেতে ইচ্ছা করছে। সন্ধ্যা হলেই আমি ঠিক্ বাড়ী ফিরে আস্ব।” কাজেই তার বোন তাকে ছুটী না দিয়ে পারল না।
সেদিন তাকে দেখতে পেয়ে রাজা নিজেই তাকে ধরতে এলেন। সমস্ত দিন সে ছুটে বেড়াল, রাজাকেও তার সঙ্গে ছুটতে হ’ল। কিন্তু সন্ধ্যা হবার একটু আগে তিনি হরিণকে