মাটি পর্য্যন্ত এসে নাম্ল, আর বুড়ী তাই ধরে ধরে নেমে এল।
রাজার ছেলে অবাক্ হয়ে দাঁড়িয়ে সব দেখলেন। তার পর বুড়ী চলে গেলে তিনি জানালার নীচে এসে ডাক্লেন, “কমলা, কমলা, চুল খুলে দাও।”
অমনি কমলা তার চুল খুলে দিল, আর তাই ধরে রাজার ছেলে উপরে উঠ্লেন। উপরে উঠে দেখেন, কি সুন্দর মেয়ে!
কমলা মনে করেছিল বুড়ীই বুঝি আবার এসেছে। সে রাজার ছেলেকে দেখে আগে খুব ভয় পেল। কিন্তু তাঁর মিষ্টি কথা শুনে, আর সুন্দর চেহারা দেখে, শেষে তার ভয় চলে গেল। সেত বুড়ী ছাড়া আর কাউকে কখনও দেখেনি, সে মনে করত সব মানুষই বুঝি বুড়ীর মত বিশ্রী দেখতে। রাজার ছেলে দেখে তার খুব ভাল লাগ ল, আর তাদের দুজনে খুব ভাব হয়ে গেল।
এমনি করে রাজার ছেলে রোজ কমলার সঙ্গে দেখা কর্তে যান, বুড়ী কিছু জান্তে পারে না। একদিন তিনি কমলাকে বল্লেন “কমলা, তুমি আমাদের দেশে যাবে? আমাকে বিয়ে কর্বে?” কমলা বল্ল, “হাঁ। কিন্তু কি ক’রে যাব? এখান থেকে নামব কি ক’রে?” রাজার ছেলে বল্লেন, “এক কাজ করা যাবে। এর পর থেকে আমি খানিকটা ক’রে সুতাে নিয়ে আস্ব! তুমি সেই দিয়ে দড়ি বানাবে। যখন দড়ি খুব লম্বা হবে তখন সেই দড়ি বেয়ে আমরা নীচে নাম্ব।