ক’রে শুয়ে থেকে, সকলে ঘুমুলে পরে উঠে বাইরে গেল। বাইরে। পথের দুধারে অনেক শাদা শাদা নুড়ী পাথর পড়ে আছে, হরি কাপড়ের কোঁচড় ভ’রে সেই সব পাথর কুড়িয়ে নিয়ে, ঘরে। এসে ঘুমিয়ে রইল।
পরদিন সকাল হতে না হতেই সৎমা তাদের জাগিয়ে বল্ল, “ওঠ্ ওঠ্! বনে কাঠ কাটতে যেতে হবে সন্ধ্যার সময় বাড়ী ফিরে আস্ব। ঘরে আর কিছু খাবার নেই, দুটো রুটী আছে। তােরা দুজনে সমস্ত দিন ঐ রুটী খেয়ে থাক্বি।” বলে সে তাদের দুজনকে দুখানা রুটী দিল। তারপর সকলে মিলে কাঠ কাট্তে চল্ল।
হরি চল্ছে আর কেবল পিছন ফিরে ফিরে কি যেন কর্ছে। তার বাবা বল্ল, “হরি কি করছিস্? অত পিছনে পড়ে থাকছিস্ কেন?” হরি বল্ল, “জানালার উপর বেড়াল ছানাটা বসে আছে। তাই দেখ্ছি।” তার বাবা ধমক দিয়ে বল্ল, “না, বেড়াল ছানা দেখ্তে হবে না। শীগ্গীর চল্।”
বেড়াল ছানার কথা কিন্তু সবই ফাঁকি। আসলে হরি করেছে কি, কোঁচড় ভরে যে নুড়ী পাথর এনেছে, তারি একটা একটা করে পথে ফেল্তে ফেল্তে যাচ্ছে।
বনে গিয়ে হরি আর গিরিকে এক জায়গায় বসিয়ে দিয়ে তাদের বাবা বল্ল, “তােরা এখানে বসে খেলা কর্। আমরা কাঠ কাটতে যাই। যতক্ষণ না আমরা ফিরে আসি ততক্ষণ তােরা কোথাও যাস্নে যেন।” এই বলে তারা তাদের সেখানে রেখে চলে গেল।