কাট তে চলে গেল, আর বলে গেল, “যতক্ষণ আমরা না আসি, ততক্ষণ কোথাও যাস্না।” তারা ভাই বোনে সমস্ত দিন খেলা করে, একখানা রুটী দুজনে ভাগ করে খেয়ে, বসে আছে; সন্ধ্যা হয়ে এসেছে, কিন্তু বাবা কি সৎমা কারোর দেখা নেই। গিরি ত কাঁদতে আরম্ভ কর্ল। হরি বল্ল, “ভয় নাই। চাঁদ উঠ্লেই আমরা বাড়ী যাব।” চাঁদ যখন উঠ্ল, তখন তারা আর সেই রুটীর টুকরোর একটি ও খুঁজে পেল না। তার আগেই পাখীতে সব খেয়ে গিয়েছিল। এখন কি হবে! অত বড় বনের মধ্যে ছোট্ট দুটি ভাই বোন একলা, চারদিকে বাঘ ডাক্ছে, ভাল্লুক ডাক্ছে। তারা কোথায় যাবে, কি করবে বুঝতে না পেরে এক গাছের উপর উঠে জড়সড় হয়ে বসে রইল, ভয়েতে কারোর ঘুম হল না।
সকাল হ’লে পর দুজনে গাছ থেকে নেমে, বনের ভিতর দিয়ে চল্ল। খানিকদূর গিয়ে তারা দেখ্ল বনের ভিতরে একটি ছোট ঘর রয়েছে। সে ঘর এমনি আশ্চর্য্য যে তেমন আর কেউ দেখেনি। ঘর খানা দেয়াল থেকে চাল অবধি খালি মিঠাই মণ্ডা দিয়ে তৈরী। দেয়াল সব সন্দেশের, চাল মালপুয়ার, জানালা শার্শী সব মিছরির। এমন মজা কি আর হয়? হরি আর গিরি ত কেবল হাস্ছে আর নাচ্ছে আর দুহাতে তুলে খালি মুখে দিচ্ছে।
এমন সময় ঝাঁ ক’রে ঘরের দরজা খুলে এক বুড়ী বেরিয়ে এসে বল্ল, “কে রে, আমার ঘর ভাঙছিস্?”