তার আঙ্গুল না দেখিয়ে, ফুটো দিয়ে এক টুক্রা হাড় বার করে দেয়।
বুড়ী ত ভাল ক’রে চোখে দেখতে পায় না, সে হাড় খানাকে টিপে বলে, “বড্ড রোগা, বড্ড শক্ত।”
এমনি ক’রে রোজ রাক্ষুসী আঙ্গুল দেখতে চায়, আর ্জরো হরি তাকে হাড় দেখায়। শেষে একদিন বুড়ী রেগে বল্ল, “এত করে খাওয়াই তবু মোটা হ’স্ না। আজ তোকে খাবই খাব।”
তারপর সে গিরিকে ডেকে বল্ল, “উনুন জ্বাল, কড়ায় তেল চড়া। তোর ভাইকে আজ ভেজে খাব।” গিরি উনুন ধরিয়ে এই বড় এক কড়া করে তেল চড়িয়ে দিল।
দেখ্তে দেখ্তে সেই এককড়া তেল টগ্বগ্ করে ফুট্তে লাগ্ল। রাক্ষুসী গিরিকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল, “দেখ্ত তেল গরম হয়েছে কিনা।” গিরি বল্ল, “তেল গরম হল কিনা তাত আমি দেখতে জানি না। তুমি এসে দেখিয়ে দাও না।”
তা শুনে বুড়ী নিজেই দেখ্তে গেল, তেল গরম হয়েছে কিনা। গিয়ে সবে কড়ার উপর উপুড় হয়েছে, অমনি গিরি ছুটে এসে পিছন থেকে মেরেছে তাকে এক ধাক্কা। ধাক্কা খেয়ে দুষ্টু বুড়ী হীঁক্ করে চেঁচিয়ে সেই তেলের উপর পড়ে দেখ্তে দেখ্তে চিংড়ি মাছের মতন ভাজা হয়ে গেল!
তার আগেই গিরি ছুটে এসে হরিকে দরজা খুলে দিয়েছিল। তার পর,বুড়ীর ঘরে যত হীরা মাণিক ছিল, দুজনে মিলে সব সিন্ধুক থেকে বার করে পুটুলী বেঁধে নিল।