পাঁশ কুড়ানী।
’
পাঁশ কুড়ানী একটি ছােট্ট মেয়ে, রান্না ঘরের ছাই ফেলে বলে তাকে ‘পাঁশকুড়ানী’ ব’লে ডাকে। পাঁশকুড়ানীর দুইসৎ বােন আছে, তারা তাকে ভারী কষ্ট দেয়। নিজেরা কত ভাল খাবার খায়, আর তাকে খেতে দেয় ভাতের ফেন। নিজেরা কত ভাল ভাল কাপড় পরে; তাকে পরিয়ে রাখে ছেঁড়া কাপড়। তাকে দিয়ে বাড়ীর সব কাজ করায়, রান্না ঘরের ছাই ফেলায়, আর রাত্রে শুতে দেয় কয়লার উপরে। তাই পাঁশকুড়ানীর ছেঁড়া কাপড়পানি সব সময়ই ময়লা থাকে। সে কিন্তু বড় লক্ষ্মী মেয়ে, কখনও কারাের সঙ্গে ঝগড়া করে না। একবার সে দেশের রাজার বাড়ী মস্ত ভােজ হ’ল। তিন দিন ধরে রাজা দেশের সব বড় বড় লােকদের খাওয়াবেন, তাদের নিয়ে আমােদ কর্বেন। পাঁশকুড়ানীর বােনেরা সেই ভােজে যাবে। সকাল থেকে তারা শুধু ভাব্ছে কোন শাড়ী খানা পর্বে, কি কি গহনা পর্বে, কেমন করে চুল বাঁধ্বে, এই সব। বিকাল হ’তে না হ’তে সাজগােজ কর্বার ধুম পড়ে গেল।
তাই দেখে পাঁশকুড়ানী এসে জিজ্ঞাসা কর্ল, “তােমরা কোথায় যাবে?” বােনেরা বল্ল, “জানিস্ না, রাজার বাড়ী নেমন্তন্ন!” শুনে পাঁশকুড়ানী বল্ল, “আমাকে নিয়ে যাবে না?” বােনেরা মুখ শিঁট্কিয়ে বল্ল, “তুই যাবি কি করতে? তাের না আছে ভাল