ছোঁয়া মাত্রই তারা ঝক্ঝকে সাজ পরা এই বড় বড় ছ’টা ঘোড়া হয়ে তড়াক্ তড়াক্ করে লাফাতে লাগ্ল।
তা, দেখে পরী হেসে বল্ল, “গাড়ী হয়েছে, ঘোড়া হয়েছে, এখন সইস্ কোচয়ান হলেই হয়। আচ্ছা, দুটো টিকটিকি ধরে আন।”
পাঁশকুড়ানী দুটো টিকটিকি খুঁজে আন্ল। সে দুটোকে যেই পরী তার লাঠি দিয়ে ছুঁয়েছে, অমনি তার একটা সইস্ আর একটা কোচয়ান হয়ে গিয়েছে। তারা দুজন উঠেই অমনি ঘোড়, ছয়টাকে গাড়ীতে জুতে ফেলেছে।
এ সব দেখে শুনে ত পাঁশকুড়ানীর মুখ দিয়ে আর কথা বেরুচ্ছেনা সে এমনি আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছে! সব কাজ শেষ করে পরী তাকে বল্ল, “এইবার তুমি এই গাড়ী চড়ে রাজার বাড়ী নেমন্তন্ন খেতে যাও।” সে বল্ল, “কিন্তু আমার এই ময়লা কাপড় নিয়ে কি করে যাব?” পরী তখন সোণার লাঠি দিয়ে তার কাপড় ছুঁয়ে দিল, আর সেই ছেঁড়া ময়লা কাপড় দেখ্তে দেখ্তে ঝকঝকে রেশমী কাপড় হয়ে গেল; পাঁশকুড়ানীর গা ভ’রে হীরা মতীর গহনা হ’ল আর তার পায়ে চমৎকার মাণিকের মল হ’ল। তখন সেই ছয় ঘোড়ার গাড়ীতে চড়ে পাঁশকুড়ানী নেমন্তন্ন খেতে গেল। যাবার সময় পরী তাকে বলে দিল, “দেখো। সাবধান! রাত বারটাব বেশী ওখানে থেকোনা। রাত বারটা বাজ্তেই কিন্তু এই সব কাপড় গহনা, গাড়ী ঘোড়া সব চলে। যাবে, আর তোমার ছেঁড়া কাপড় ফিরে অসাবে।”