বাড়ী পাঠিয়ে দিল। সে দিনকার পােষাক আগের দিনের চেয়ে ও সুন্দর। শাড়ীখানা রূপােলী, আর গহনা আরাে ঢের দামী, আর পায়ে সেই চমৎকার মাণিকের মল। রাজার বাড়ীতে সকলে তাকে দেখে অবাক। রাজার ছেলে আর কারাের দিকে চেয়েও দেখ্লেন না, কেবল তারই সঙ্গে গল্প কর্লেন। কিন্তু যেই বারটা বাজল অমনি সে যে কোথায় চলে গেল কেউ দেখতে পেল না। পাঁশকুড়ানী ততক্ষণে বাড়ী এসে, তার ছেঁড়া কাপড় পরে বসে আছে।
সে দিনও তার সৎবােনের বাড়ী এসে খুবই গল্প কর্ল, “আজকে সেই রাজার মেয়েকে যে কি সুন্দর দেখাচ্ছিল কি বল্ব! তার শাড়ীখানার আগাগােড়াই রূপােলী, ঝক্ঝক্ করছে; আর তার পা দুখানা কি সুন্দর, এমন ছােট্ট পা কখনাে দেখিনি।”
তার পরদিন আবার নেমন্তন্ন। সে দিন শেষ দিন। যার যত ভাল কাপড়, ভাল গহনা আছে, বেছে বেছে পরেছে। সেদিন ও পাঁশকুড়ানীর সৎবােনেরা সেজেগুজে গাড়ী চড়ে রাজবাড়ী। গেল, পাঁশকুড়ানীকে নিয়ে গেল না।
কিন্তু সেই পরী তাকে ভােলেনি। সকলে চলে যেতেই পরী আবার এসে দেখা দিল। পাঁশকুড়ানীর আজকের পােষাক যারপর নাই আশ্চর্য্য! সােণার শাড়ী, তাতে মণি মুক্তোর কাজ; গায়ের গহণা, মাথার মুকুট, এমনি চমৎকার যে দেখলে মনে হয় যেন জ্বলছে।