আজ তাকে দেখে সকলে ভাব্ল, “এ কে? মানুষ, না পরী?” রাজা রাণী ভাব্লেন, “এমন সুন্দর মেয়েকে আমাদের বৌ কর্লে তবে ঠিক হয়।” রাজার ছেলে ভাব্লেন, “আমি একে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে করব না।” আজকে শেষ দিন, সকলে খুব আমোদ কর্ছে। পাঁশকুড়ানী ও সকলের সঙ্গে গল্প কর্ছে, হাস্ছে, কত রাত হয়েছে, তা তার খেয়ালই নেই। হঠাৎ ঘড়ীতে টং টং করে বারটা বেজে উঠ্ল! তখন তার মনে হল, ঐ যা, কি করলাম! পরী ত আমাকে বারটার বেশী এখানে থাক্তে মানা করেছে!” অমনি কাউকে কিছু না বলে, কারোর কথা না শুনে সে একেবারে দৌড়ে বাইরে এল। রাজার ছেলেও তার পিছু পিছু ছুটে বাইরে এলেন, কিন্তু সে যে কোনদিকে পালিয়ে গেল কিছু বুঝতে পার্লেন না, কেবল দেখ্লেন সিঁড়ীর উপর এক গাছি ছোট্ট মল প’ড়ে আছে। পাঁশকুড়ানী দৌড়ে যাবার সময় কেমন করে তার পা থেকে সেই মল খুলে পড়ে গিয়েছিল। মজার ছেলে মল গাছি তুলে নিলেন, দেখ্লেন তা’তে আশ্চর্য্য কাজ করা, সে রকম কাজ সে দেশের কোন সেক্রা কর্তে পারে না।
রাজার বাড়ীর দরজা পার হতে না হতেই পাঁশকুড়ানীর সে সোণার পোষাক, ছেঁড়া ময়লা কাপড় হয়ে গেল। দরজায় এসে দেখে তার গাড়ীও নেই ঘোড়াও নেই, কিছুই নেই। কাজেই তাকে হেঁটে বাড়ী যেতে হ’ল।
রাজার ছেলে সব পাহারাওয়ালাদের জিজ্ঞাসা কর্লেন, “এখান