দিয়ে কোন রাজার মেয়ে গিয়েছেন? তোমরা কাউকে বাইরে যেতে দেখেছ?” তারা বল্ল, “না, কাউকে ত দেখিনি। কেবল এক ভিখিরী মেয়ে যাচ্ছিল; আমরা তাকে ধর্তে গেলাম, সে ছুটে পালিয়ে গেল।”
রাজার ছেলে জেদ্ করে বস্লেন, সেই মেয়ে ছাড়া আর কাউকে বিয়ে কর্বেন না। কিন্তু সে মেয়ে পালিয়েছে, এখন তাকে পাবেন কোথায়? সে কার মেয়ে, তার বাড়ী কোনখানে তা কেউ বল্তে পারে না। এখন উপায়? তখন, যে মল কুড়িয়ে পেয়েছিলেন, সেই মলের কথা হটাৎ তাঁর মনে হ’ল। তিনি বল্লেন, “এই মল যার পায় হবে, তাকেই আমি বিয়ে কর্ব। এত ছোট মল কখনো যে সে মেয়ের পায় হবে না।”
তখন রাজার লোক মল নিয়ে সকলের বাড়ী বাড়ী ফির্তে লাগ্ল। এমন মেয়ে কার বাড়ীতে আছে, সেই মল যার পায় ঢোকে? যার বাড়ীতেই মেয়ে আছে, সে মেয়েরা এসে মল পর্তে কতই না চেষ্টা করল। কিন্তু সে মল কারোর পায়ে ঢুক্ল না। ঘুরে ঘুরে রাজার লোক পাঁশকুড়ানীদের বাড়ী এল। পাঁশকুড়ানীর সৎবোনেরা সেই মল নিয়ে কত টানাটানি কর্ল, তাদের মোটা মোটা পা ফেটে রক্ত পড়্তে লাগ্ল, কিন্তু কিছুতেই মল পায়ে ঢুক্ল না! পাঁশকুড়ানী তামাসা দেখ্বার জন্য সেখানে এসে দাঁড়িয়েছে। রাজার লোকেরা তাকে বল্ল, “তুমি একবার পরে দেখত। তোমার পা খুব ছোট দেখাচ্ছে।” অমনি পাঁশকুড়ানীর সৎ বোনেরা ব্যস্ত হয়ে দুজনে একসঙ্গে বলে উঠ্ল, “ওর পায়ে কখ্খন হবে না। ও