জেলে বল্ল, “তা আর পারবে না কেন?” পরদিন দুখির হাতে দিয়ে রাজা রাণীকে চিঠি পাঠালেন। সেই চিঠিতে লেখা ছিল, “যে ছেলে এই চিঠি নিয়ে যাচ্ছে, তা’কে, যাবামাত্র মেরে ফেল্তে হুকুম দেবে। আমি ফিরে গিয়ে যেন তা’কে দেখ্তে না পাই।” চিঠি নিয়ে যেতে যেতে দুখি এক বনের মধ্যে পথ হারিয়ে ফেল্ল। অন্ধকার বন, চারিদিকে কিছু ভাল করে দেখা যাচ্ছেনা। তখন রাত ও হয়ে এসেছে। দুখি ভাবল, “এখন উপায়?” এমন সময় সে দুরে একটা আলোর মত দেখ্তে পেল। সেই দিকে গিয়ে দেখ্ল একটা ছোট্ট ঘরের ভিতর আলো জ্বল্ছে, আর আলোর কাছে একজন বুড়ী বসে আছে। বুড়ী তাকে দেখে বল্ল, “তুমি কে বাছা? এখানে কেন এসেছ? এ যে ডাকাতের বাড়ী।” দুখি বল্ল, “তা ডাকাতের বাড়ী হোক্। আমার বড্ড পরিশ্রম হয়েছে, আর চলতে পার্ছি না। আজ রাত্রে আমি এখানেই থাক্ব। রাজামশাই রাণীকে একটা চিঠি দিয়ে ছিলেন, সে চিঠি আমি নিয়ে যাচ্ছিলাম, কিন্তু অন্ধকারে পথ ভুলে ফেলেছি।” এই ব’লেই সে সেই ডাকাতদের একটা বিছানায় শুয়ে পড়্ল।
ডাকাতেরা বাড়ী ফিরে এসে দেখে দুখি খুব নাক ডাকিয়ে ঘুমচ্ছে। তারা বুড়ীকে জিজ্ঞাসা কর্ল, “এ কে?” বুড়ী বল্ল, “এই ছেলেটি রাণীর কাছে রাজার চিঠি নিয়ে যাচ্ছিল, অন্ধকারে পথ হারিয়ে ফেলেছে।” রাজা কিনা ডাকাতদের ধর্তে পারলেই সাজা দেন তাই তারা তাঁকে দেখ্তে পারে না। তারা ভাব্ল, “একটু মজা করা যাক্।” এই ভেবে তারা দুঃখীরামের জামার ভিতর