পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/৮৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুখি।
৬১

থেকে চিঠিখানা বার করে, খুলে পড়্‌ল তারপর সেটা ছিঁড়ে ফেলে আর একখানা চিঠিতে লিখ্‌ল, “এই লােক যাবামাত্র আমার মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে দেবে।” লিখে সেই চিঠিখানা দুঃখীরামের জামার ভিতর দিল। দুখি এসবের কিছুই জানে না, সে তখনও খুব নাক ডাকিয়ে ঘুমচ্ছে।

 রাজার বাড়ী পৌছে দুখি রাণীর কাছে চিঠি দিল। রাণী খুলে দেখ্‌লেন, তাতে দুখির সঙ্গে তাঁদের মেয়ের বিয়ে দেবার কথা লেখা আছে। আর দুখিকে দেখে তাঁর খুব পছন্দও হয়েছে। কাজেই তিনি অমনি মেয়ের সঙ্গে তার বিয়ে দেবার যােগাড় করতে লাগলেন। রাজার বাড়ীতে খুব ধুমধাম লেগে গেল।

 বাড়ী ফিরে এসে সব কাণ্ড দেখে রাজা মশাই ত অবাক। তিনি বল্‌লেন, “রাণী, এ কি?” রাণী বল্‌লেন, “কেন, তুমিই ত লিখেছিলে। এই ত তােমার চিঠি।” চিঠি পড়ে রাজা দেখলেন এ তো তাঁর চিঠি নয়! তখন তিনি ভয়ানক রেগে দুঃখীরামকে ডেকে পাঠালেন। দুখি বল্ল, “আমি ত কিছুই জানিনা, তবে যদি ডাকাতের চিঠি বদ্‌লিয়ে দিয়ে থাকে।” রাজামশাই আরও রেগে বল্‌লেন, “সে আমি জানিনা। এক মাসের মধ্যে যদি তুমি আজব পাহাড়ে যে দৈত্য থাকে, সেই যার সােণার চুল, তার মাথার তিন গাছা চুল আমাকে না এনে দিতে পার, তবে আমি তােমাকে কেটে ফেল্‌ব।”

 সেই দৈত্যের চুল আন্‌তে দুঃখীরাম বেরুল, আর কিছু দিন পথ চলে সে এক মস্ত সহরের দরজার কাছে এসে উপস্থিত হ’ল।