তা’কে দেখে সে সহরের দারােয়ান বল্ল, “দাঁড়াও, কোথায় যাচ্ছ। আগে বল তুমি কি কাজ কর, কি বিদ্যা জান, তবে যেতে পাবে।” দুখি বল্ল, “আমি সব জানি।”
দারােয়ান বল্ল, “সব জান? আচ্ছা, এ সহরে একটা দুধের ফোয়ারা আছে, আগে তা থেকে খুব ভাল দুধ পড়্ত, কিন্তু এখন যে সেটা শুকিয়ে যাচ্ছে, এখন আর তা থেকে জলও বার হয় না, কেন বল্তে পার? যদি পার ত তােমাকে দুই গাধা বােঝাই ক’রে মােহর দিব।”
কিছু দূর গিয়ে দুখি এক ছােট নদীর ধারে এসে উপস্থিত হ’ল। তা’কে সেই নদী পার হয়ে যেতে হবে। নদীতে নৌকা নিয়ে এক মাঝি ব’সে ছিল, সেই সব লােকদের নদী পার কর্ত। দুখিকে সে জিজ্ঞাসা করল, “তুমি কি বিদ্যা জান?” দুখি তা’কেও বল্ল, “আমি সব জানি।” তখন মাঝি বল্ল, “সেই কবে থেকে আমি এই ঘাটে বসে, নৌকায় করে কেবল লােকেদের পার কর্ছি। আচ্ছা, কি ক’রে আমি এই কাজ থেকে ছুটী পেতে পারি জান? যদি বল্তে পার তবে আমি তােমাকে অনেক টাকা দিব।”
দুখি বল্ল, “ফিরে যাবার সময় বল্ব।”
তার পর নদী পার হয়ে দুখি কাল আর অন্ধকার এক পাহাড় দেখ্তে পেল। সেই পাহাড়ে একটা প্রকাণ্ড গর্ত্তের ভিতর সেই দৈত্য থাকে। গর্ত্তের দরজায় গিয়ে দুখি ঘা দিতে এক বুড়ী দরজা খুলে দিল। সে বুড়ী হচ্ছে দৈত্যের দিদি মা। দৈত্য তখন বাড়ী ছিল না। বুড়ী বল্ল, “তুমি এখানে কি কর্তে এসেছ? দৈত্য যে তােমাকে দেখলে খেয়ে ফেল্বে।”