পাতা:গল্পের বই - সুখলতা রাও.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
দুখি।
৬৩

 দুখি বল্‌ল, “আমি দৈত্যের মাথা থেকে তিন গাছা সোণার ফুল নিতে এসেছি, না হ’লে আমাদের রাজামশাই আমাকে মেরে ফেল্‌বেন।” শুনে বুড়ীর দুঃখ হ’ল। সে বল্‌ল, “আচ্ছা দাঁড়াও, আমি তোমাকে লুকিয়ে রাখ্‌ছি।”

 দুখি বলল, “আর আমি তিনটা কথা জান্‌তে চাই।” বুড়ী বল্‌ল, “কি কথা?” দুখি বল্‌ল, “সেই যে এক সহরে এক দুধের ফোয়ারা আছে, সে ফোয়ারা কেন শুকিয়ে যাচ্ছে? আর আরেক সহরে যে গাছে সোণার ফল হত, সে গাছ কেন মরে যাচ্ছে? আর ঐ নদীতে যে মাঝি নৌকায় ব’সে আছে তার কিসে ছুটী হবে?”

 বুড়ী বল্‌ল, “তাই ত; তিনটা কথাই বড় শক্ত। আচ্ছা, দৈত্য এলে আমি তা’কে জিজ্ঞাসা কর্‌ব। এখন তোমাকে লুকিয়ে রাখি।”

 এই ব’লে সে দুখিকে একটি ছোট্ট পিঁপড়ে বানিয়ে, নিজের কাপড়ের মধ্যে লুকিয়ে রাখ্‌ল। দৈত্য এসে ঘরে ঢুকেই খালি নাক সিঁটকিয়ে শুঁকছে আর চেঁচাচ্ছে, “হাঁউ মাউ কাঁউ, মানুষের গন্ধ পাঁউ।”

 বুড়ী বল্‌ল, “মানুষ আবার এখানে কোত্থেকে আস্‌বে?” তবু কি সে তার কথা শোনে? ঘরের যত জিনিষ সব উল্টিয়ে পাল্টিয়ে দেখ্‌ল মানুষ কোথায় আছে। শেষে বুড়ী তাকে ধমক দিয়ে বল্‌ল, “কি গোলমাল কর্‌ছ? এখনি আমি সব ঝাট পাট দিয়ে পরিষ্কার করে রাখ্‌লাম, আর দেখ দেখি তুমি কি কর্‌লে? এখন খেয়ে দেয়ে ঘুমাও।” দৈত্য তখন খাওয়া দাওয়া করে বুড়ীর কোলে মাথা