রেখে ঘুমাতে লাগ্ল। একটু পরেই ঘোঁ-ও-ও-ও করে তার নাক্ ডাক্তে লেগেছে, আর বুড়ীও অমনি পট্ করে তার এক গাছ, সােণার চুল ছিঁড়ে নিয়েছে।
দৈত্য ত তখনি উঃ হুঃ হু ব’লে একেবারে লাফিয়ে উঠে বল্ল, “ওকি ওকি, ওকি কর?
বুড়ী বল্ল, “না, না, কিছু না। আমার একটু একটু ঘুম পাচ্ছিল, আর বড় খারাপ স্বপ্ন দেখেছিলাম, তাই ঘুমের ঘােরে ভুলে তােমার চুল ধ’রে টেনে ফেলেছি।” দৈত্য জিজ্ঞাসা করল, “কি স্বপ্ন” বুড়ী বল্ল, “দেখেছিলাম কি সেই যে এক সহরে দুধের ফোয়ারা আছে, সেই ফোয়ারাটা যেন শুকিয়ে গিয়েছে।”
দৈত্য হাস্তে হাস্তে বল্ল, “যাবেনা? ফোয়ারার নীচে যে ব্যাঙ্ বসে আছে। সেটাকে বার করে মেরে ফেললেই আবার ফোয়ারা দিয়ে দুধ পড়্বে।” এই বলে দৈত্য আবার ঘুমতে লাগ্ল। খানিক পরে বুড়ী পট্ করে আরেক গাছা চুল ছিঁড়েছে। এবারে দৈত্যের রাগ হ’ল। সে বল্ল, “আবার! তুমি ওকি কর্ছ বল্ত? ফের যদি কর ত ভাল হবেনা বল্ছি।” বুড়ী বল্ল, “না দাদা, কিছু ত করিনি। ঘুমিয়ে স্বপ্ন দেখ্ছিলাম, তাইত তােমার চুল টেনে ফেলেছি।”
দৈত্য বল্ল, “কি স্বপ্ন শুনি।” বুড়ী বল্ল, “স্বপ্ন দেখছিলাম কি, যে গাছে সােণার ফল হত সেই গাছটা যেন মরে যাচ্ছে।”
দৈত্য বল্ল, “তা আর যাবেনা। ওর নীচে ইঁদুরে বাস করেছে। সেটাকে মেরে ফেল্লেই আবার গাছ বাঁচবে।”