এবারে দৈত্য খুবই নাক ডাকিয়ে ঘুমুচ্ছে। তা’ দেখে বুড়ীও আবার আরেক গাছা চুল পটাস্ করে টেনে তুলেছে। তখ, দৈত্য যে লাফটা দিল আর রাগটা কর্ল! বুড়ীকে সে মারেই। আর কি! অনেক হাত জোড় করে বল্ল, “আর কর্ব না দাদা, এবার ছেড়ে দাও। বুড়ী মানুষ ব’সে ব’সে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম, আর স্বপ্ন দেখেছিলাম।” দৈত্য তখন ঠাণ্ডা হয়ে বল্ল, “আবার কি স্বপ্ন দেখেছিলে?” বুড়ী বল্ল,“আচ্ছা, ঐ যে মাঝি নদীর ধারে ব’সে আছে, কতবছর থেকে কেবল লােক পার কর্ছে, তার কি কর্লে ছুটী হবে?”
দৈত্য বলল, “বেটা যেমন বােকা! কেউ নৌকায় উঠ্লে তার হাতে দাঁড়খানি দিয়ে ছুটে পালালেইত তার ছুটী হয়ে যায়।”
পরদিন দৈত্য যখন বাড়ী থেকে বেরিয়ে গেছে, বুড়ী তখন দুখিকে পিঁপড়ে থেকে মানুষ করে দিল। দৈত্যের সব কথা ত দুখি শুনেইছে। তারপর তিন গাছা সােণার চুল নিয়ে, বুড়ীকে অনেক নমস্কার করে সে দেশে চল্ল।
নদীর ধারে আসতেই মাঝি বল্ল, “কি, আমার ছুটী কি করে হবে জানতে পার্লে?”
দুখি বল্ল, “আগে আমাকে পার কর তবে বল্ব।” নদীর ওপারে গিয়ে নৌকা থেকে নেমে দুখি মাঝিকে বলল, “এর পরে যে কেউ তােমার নােকায় উঠ্বে, অমনি তার হাতে দাঁড় দিয়ে তুমি ছুটে পালাবে তা’হ’লেই তােমার ছুটী হবে।” মাঝি তখন