দুই গাধা বােঝাই মােহর এনে দুঃখীরামকে দিয়ে বল্ল, “বাঁচালে ভাই! এই নাও তােমার টাকা।”
যে সহরে সােণার ফুলের গাছ ছিল, দুখি, সেই সহরে এলে পর সেখানকার দারােয়ানকে বল্ল, “গাছের নিচে ইঁদুরে বাসা করেছে। ইঁদুরটাকে মেরে ফেল তাহলে তােমাদের গাছে আবার ফল হবে।” তখন সহরের লােকেরা মিলে গাছের গােড়া খুঁড়ে ইঁদুর বার করে ফেল্ল, আর অমনি দেখতে দেখতে গাছ নূতন পাতায় ভরে গেল। তখন তারা খুব খুশী হয়ে দুখিকে আরও দুই গাধা বােঝাই করে মােহর দিল।
তারপর দুখি দুধের ফোয়ারার দেশে এলে, সেখানকার দারােয়ান তাকে বল্ল, “এখন বল আমাদের ফোয়ারা কেন শুকিয়ে যাচ্ছে।” দুখি বল্ল, “ফোয়ারার নীচে ব্যাঙ বসে আছে। ব্যাঙ তাড়ালেই ফোয়ারা ভাল হবে।” সকলে মিলে ব্যাঙটাকে টেনে বার কর্ল, আর অমনি ফোয়ারা থেকে গল্ গল্ করে চমৎকার দুধ পড়্তে লাগল। তারাও তা’তে যারপর নাই খুসী হয়ে দুখিকে দুই গাধা বােঝাই করে মােহর দিল।
ছয় গাধা বােঝাই মােহর, আর তিনগাছা চুল নিয়ে দুখি ত দেশে ফিরে এসেছে। রাজা মশাই ভারি খুসী হয়ে বল্লেন, “এখন তুমি আমার মেয়েকে বিয়ে করতে পার।” কিন্তু দুখীরামের এত টাকা দেখে রাজার বড়ই লােভ হল। তিনি তা’কে জিজ্ঞাসা করলেন, “এত টাকা তুমি কোথেকে পেলে?”
দুখি তাকে যেখানে সেই মাঝি বসে আছে সেই নদীর কথা