তাই তিনটি মেয়ের মধ্যে সওদাগর ছােটটিকেই সব চেয়ে বেশী ভালবাসেন। বড় দুই বােন তার হিংসায় আর বাঁচেনা।
অনেকদিন পর একদিন আবার খবর এল যে সওদাগরের একখানা জাহাজ পাওয়া গিয়েছে। সে জাহাজখানাও ঝড়ে পড়েছিল, অনেক কষ্টে বেঁচেছে। কিন্তু অনেক দূরে কোন এক দেশে সেখানা বালিতে আট্কিয়ে গিয়েছে। তাকে ফিরিয়ে আন্তে একবছর লাগ্বে।
সওদাগর তাঁর তিন মেয়েকে ডেকে বল্লেন, “আমি অনেক দূরে জাহাজ আনতে যাচ্ছি, এক বছর পরে ফির্ব। বল ত মা তােমাদের কা’র জন্য কি জিনিষ আন্ব?”
বাবা চ’লে যাবেন শুনে ছােট মেয়েটি কাঁদ্তে লাগ্ল। বড় মেয়ে বল্ল, “আমার জন্য একখানা খুব চমৎকার শাড়ী এনো।” মেঝ মেয়ে বল্ল, “আমার জন্য একছড়া মুক্তার মালা এনাে।” ছোট মেয়ে সুন্দরী কাঁদ্তে কাঁদ্তে বল্ল, “আমি কিছু চাই না বাবা। তুমি ফিরে এলেই আমি খুসী হব।” সওদাগর বল্লেন, “তা কি হয় মা? সকলের জন্য জিনিষ আস্বে, তােমার জন্য আস্বে না? বল, তােমার কি ভাল লাগে।” তখন সুন্দরী বল্ল, তা’হ’লে আমার জন্য একটি শাদা ধব্ধবে গােলাপ ফুল এনাে।”
এক বছর প্রায় হয়ে এসেছে। জাহাজ নিয়ে সওদাগর দেশে ফিরছেন। তিনি বড় মেয়ের জন্য শাড়ী, মেঝ মেয়ের জন্য মালা এনেছেন। কিন্তু সাদা গােলাপ ফুল আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন। না। সে দেশে গােলাপ ফুলই হয় না; শাদা গােলাপ ত দূরের