তখন চারদিক থেকে আরও অনেক গুলি হাত এসে, কেউ তাঁকে বাতাস কর্ছে, কেউ জল এনে দিচ্ছে, কেউ সরবৎ এনে দিচ্ছে। এম্নি করে খাওয়া হ’লে তারা তাঁকে শােবার ঘরে নিয়ে গেল। সেটা অতি চমৎকার ঘর, আর তাতে আরো চমৎকার নরম বিছানা! সওদাগর সমস্ত রাত খুব সুখেই ঘুমলেন।
সকালে উঠে, আস্তাবল থেকে ঘােড়া নিয়ে, তিনি বার হলেন। সে বাড়ীর চারদিকে প্রকাণ্ড বাগান। ফল ফুলের গাছ কতই আছে তেমন তিনি কখনও দেখেননি। একটি গােলাপের গাছে এই বড় বড় শাদা ফুল ফুটে রয়েছে! তার কি চমৎকার গন্ধ! তা’ দেখে সওদাগর মনে কর্লেন, “এই ত আমার ছােটমেয়ের জিনিষ পেয়েছি। এখানকার হাতগুলি আমাকে এত যত্ন করল, আর একটা ফুল নিলে কি তা’রা বিরক্ত হবে? কখনই না!” এই ভেবে তিনি বেছে সবচেয়ে বড় গােলাপটি তুলে নিলেন।
যেই ফুল তােলা অমনি এমন ভয়ানক শব্দ হল যে কি বল্ব! সেই শব্দ শুনেই সওদাগরের হাত থেকে ফুলটি প’ড়ে গেল। তিনি কাঁপতে কাঁপতে চেয়ে দেখলেন, এই বড় এক সিংহ এসে তাঁর সাম্নে দাঁড়িয়েছে। সে চোখ ঘুরিয়ে লক্লকে জিভ বার করে দাঁত খিঁচিয়ে বল্ল, “কেন আমার ফুল ছিঁড়্লে? আমি এখনি তােমাকে খাব।”
সওদাগর হত যােড় ক’রে বল্লেন, “আমার অন্যায় হয়েছে, মাপ কর। আমি ত জান্তাম না এ তােমার বাগান। আমার