অতিথি।
প্রথম পরিচ্ছেদ।
কাঁঠালিয়ায় জমিদার মতিলাল বাবু নৌকা করিয়া সপরিবারে স্বদেশে যাইতেছিলেন। পথের মধ্যে মধ্যাহ্নে নদীতীরের এক গঞ্জের নিকট নৌকা বাঁধিয়া পাকের আয়োজন করিতেছেন এমন সময় এক ব্রাহ্মণ বালক আসিয়া জিজ্ঞাসা করিল, বাবু তোমরা যাচ্চ কোথায়?—প্রশ্নকর্ত্তার বয়স ১৫।১৬র অধিক হইবে না।
মতিবাবু উত্তর করিলেন, কাঁঠালে।
ব্রাহ্মণবালক কহিল, আমাকে পথের মধ্যে নন্দীগাঁয়ে নাবিয়ে দিতে পার?
বাবু সন্মতি প্রকাশ করিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, তোমার নাম কি?
ব্রাহ্মণ বালক কহিল, ‘আমার নাম তারাপদ।’
গৌরবর্ণ ছেলেটিকে বড় সুন্দর দেখিতে। বড় বড় চক্ষু এবং প্রসন্ন হাস্যময় ওষ্ঠাধরে একটি সুললিত সৌকুমার্য্য প্রকাশ পাইতেছে। পরিধানে একখানি মলিন ধুতি। অনাবৃত দেহখানি সর্ব্বপ্রকার বাহুল্যবর্জ্জিত; কোন শিল্পী যেন বহু যত্নে নিঁখুৎ নিটোল করিয়া গড়িয়া দিয়াছে। যেন সে