পাতা:গীতবিতান.djvu/১১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> ०२|१७ ר רוא 9 ק "לר וס\ 0 < গ্রন্থপরিচয় د • o? পাণ্ডুলিপিতে বর্তমান। ইহা যে গানই সে বিষয়ে সমকালীন দুএকজন ব্যক্তি সাক্ষ্য দেন । রচনাকাল ফাল্গুন ১৩৩৩ । 'নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা’র অন্তর্গত এই গানটির যে পাঠ ১৩৩৪ আষাঢ়ের ‘বিচিত্রা’য় প্রকাশিত তাহাই অধিক প্রচলিত এবং এই গ্রন্থের ৫১৯ পৃষ্ঠায় (সংখ্যা ২৩৩) মুদ্রিত। মূলতঃ বসন্তের গান ( রচনা : ১৯ ফাল্গুন ১৩৩৩), শরতের প্রসঙ্গে ব্যবহার করায় ‘বনবাণী’ কাব্যে, অর্থাৎ "নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা'র সর্বশেষ পাঠে, যেমনটি দেখা যায় তাহাই এ স্থলে সংকলিত হইল । নটরাজ-ঋতুরঙ্গশালা'র অঙ্গীভূত 'চঞ্চল’ কবিতা : ওরে প্রজাপতি মায়া দিয়ে কে যে পরশ করিল তোরে ইত্যাদি। দিনেন্দ্রনাথকৃত ইহার যে গীতরূপ ১৩৪৫ বৈশাখের তৃতীয়খণ্ড স্বরবিতানে সংকলিত ( পরে ১৩৫৪ আশ্বিনের দ্বিতীয়খণ্ড গীতবিতানে ), কবিতা হিসাবে তাহার ছন্দ পৃথক, ভাষাতেও বহু পরিবর্তন । অল্পকালের মধ্যেই কবিতা হিসাবে রবীন্দ্রনাথ এ রচনায় আরও বহুবার বহু পরিবর্তন করিলেও (বিভিন্ন রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপিতে ৮৯টি রূপের কম নয় ), বর্তমান সংকলনের বিশেষ গুরুত্ব নানা কারণে । প্রথমতঃ ইহা মূল কবিতার কেবল ভিন্ন ছন্দে লেখা ভিন্ন রূপই নয়, একেবারে রূপান্তর বা জন্মান্তর । দ্বিতীয়তঃ ইহা যে গান তাহাও জানি শ্ৰীমতী নির্মলকুমারী মহলানবিশকে লেখা রবীন্দ্রনাথের এক চিঠিতে ( দেশ : ২৮ মাঘ ১৩৬৭/পৃ ৯৯ ) : 'নিম্নলিখিত গানটি পুরাতনের নবীকরণ। স্মরণ করা যাইতে পারে মূল রচনা ১৩৩৩ সনের ২৭ ফাল্গুনে এবং ওই চিঠি ( সম্ভবতঃ গানটিও ) লেখা হয় ৩০ অগস্ট, ১৯২৮ ( ১৪ ভাদ্র ১৩৩৫ ) তারিখে । চিঠিতে লিখিয়া পাঠানোর পরেও গানটিতে কিছু পরিবর্তন করা হয় ; শাস্তিনিকেতন রবীন্দ্রসদনের রবীন্দ্র-পাণ্ডুলিপি হইতে সেই পরবর্তী পাঠই এ স্থলে গৃহীত। এবার বুঝি ভোলার বেলা হল’ গানটি ১৩৩৬ চৈত্রের ‘প্রবাসী'তে মুদ্রিত ; রচনা : ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৩৩ । ভাষা ও ভাবের দিক