পাতা:গীতবিতান.djvu/১১৫৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রন্থপরিচয় ) a9) মর্গের প্রকাশ, সেই সম্পর্কে মাঘে (পৃ ৪৭৬ ) ‘জাধার শাখা উজল করি’ এবং ফাল্গুনে (পৃ • •৮) নীরব রজনী দেখো মুদ্রিত হয় ; ‘ভারতী’তে বলি ও আমার গোলাপবালা'র প্রকাশ ১২৮৭ অগ্রহায়ণে। তরুণ রবীন্দ্রনাথ ১২৮e সালের ৫ জাখিন তারিখে বিলাত-অভিমূখে যাত্রা করেন, উল্লিখিত গানগুলি তৎপূর্বেই রচিত।** ‘জীবনস্মৃতি'র পাণ্ডুলিপি হইতে উদ্ভূত রচনায় রবীন্দ্রনাথ যেমন খুশি ভাঙা ছন্দে’র কথা বলিয়াছেন, এবং পরে ‘ভদ্র ছন্দে’ ‘শুদ্ধি’ করিয়া তাহ ষে নষ্ট করিতে প্রবৃত্তি হইয়াছিল এজন্য খেদও প্রকাশ করিয়াছেন। কবিতায় বা গানে নব নব পথের সন্ধান, নব নব মুক্তির আস্বাদন, নূতন নূতন আঙ্গিকের পরীক্ষায় নিত্য নূতন সিদ্ধি -লাভ –এ প্রবণতা স্রষ্টা রবীন্দ্রনাথের জীবনে শুরু হইতে শেষ পর্যন্তই দেখা যায়। ২৩ শ্রাবণ ১৩৩৬ তারিখে রবীন্দ্রনাথ একটি চিঠিতে লেখেন, "কখনো কখনো গদ্য রচনায় স্বর সংযোগ করবার ইচ্ছা হয়। লিপিকা কি গানে গাওয়া যায় না ভাবছ ?** ‘লিপিকা’য় কোনোদিন স্বর দেওয়া হইয়াছিল কি না জানা নাই, ‘শাপমোচন’এর বিভিন্ন অভিনয়ে কতকগুলি গদ্য অংশে স্বর দেওয়া হইয়াছিল, তাহা পূর্বেই উল্লিখিত ও উদগ্রড হুইয়াছে। উত্তরকালে অমিত্রাক্ষর ছন্দে বা ‘পুনশ্চ'-অনুগামী গদ্য ছন্দে গান রচনার দৃষ্টান্ত দুর্লভ নয় যে, তাহা নৃত্যনাট্য চণ্ডালিকা’র আলোচনায় বুঝা যায় এবং কবি নিজেও তাহা বলিয়া দিয়াছেন—‘সমগ্র চণ্ডালিকা নাটিকার গম্ভ এবং পদ্য অংশে স্বর দেওয়া হয়েছে । অমিত্রাক্ষর রচনার প্রাচীন ও স্বন্দর দৃষ্টাস্ত হইল, ১৩১০ সালের কাব্যগ্রন্থে মুদ্রিত : এ ভারতে রাখে। নিত্য, প্রভু, তব শুভ আশীৰ্বাদ ইত্যাদি। এই ভাবগম্ভীর রচনায় যে জানুপূর্বিক চরণে চরণে মিল নাই, সাধারণতঃ সে কেহই লক্ষ্য করেন না। ইহা হইতে

  • * এই প্রসঙ্গে डन नम्ब চট্টোপাধ্যায়ের লেখা ‘রবীন্দ্রগীতজিজ্ঞাসা'

( গীতবিতান-বার্ষিকী ১৩e • ) হইতে, ও তৎসম্পাদিত ‘জীবনস্মৃতি'র (১৩৫৪ জ্যৈষ্ঠ ) গ্রন্থপরিচয় হইতে যথেষ্ট দিশ পাওয়া গিয়াছে।

    • ৩৯-সংখ্যক পত্র : পথে ও পথের প্রাস্তে