আমার প্রাণে আছে জানি সীমাবিহীন গভীর বাণী,
তোমায় চিরদিনের কথাখানি বলব— বলতে যেন পাই॥
যখন দখিনহাওয়া কানন ঘিরে
এক কথা কয় ফিরে ফিরে,
পূর্ণিমাচাঁদ কারে চেয়ে এক তানে দেয় আকাশ ছেয়ে,
যেন সময়হারা সেই সময়ে একটি সে গান গাই॥
১৫৬
জয় ক’রে তবু ভয় কেন তাের যায় না,
হায় ভীরু প্রেম, হায় রে।
আশার আলােয় তবুও ভরসা পায় না,
মূখে হাসি তবু চোখে জল না শুকায় রে॥
বিরহের দাহ আজি হল যদি সারা,
ঝরিল মিলনরসের শ্রাবণধারা,
তবুও এমন গােপন বেদনতাপে
অকারণ দুখে পরান কেন দুখায় রে॥
যদিবা ভেঙেছে ক্ষণিক মােহের ভুল,
এখনাে প্রাণে কি যাবে না মানের মূল।
যাহা খুঁজিবার সাঙ্গ হল তাে খোঁজা,
যাহা বুঝিবার শেষ হয়ে গেল বােঝা,
তবু কেন হেন সংশয়ঘনছায়ে
মনের কথাটি নীরব মনে লুকায় রে॥
১৫৭
কাঁদালে তুমি মোরে ভালবাসারই ঘায়ে—
নিবিড় বেদনাতে পুলক লাগে গায়ে॥
তোমার অভিসারে যাব অগম-পারে
চলিতে পথে পথে বাজুক ব্যথা পায়ে॥