ধরা-অধরার মাঝে
ছায়ানটের রাগিণীতে আমার বাঁশি বাজে।
বকুলতলায় ছায়ার নাচন ফুলের-গন্ধে মিশে
জানি নে মন পাগল করে কিসে।
কোন্ নটিনীর ঘূর্ণি-আঁচল লাগে আমার গায়ে।
২৬৯
কাছে থেকে দূর রচিল কেন গো আঁধারে।
মিলনের মাঝে বিরহকারায় বাঁধা রে।
সমুখে রয়েছে সুধাপারাবার, নাগাল না পায় তবু আঁখি তার—
কেমনে সরাব কুহেলিকার এই বাধা রে।
আড়ালে আড়ালে শুনি শুধু তারি বাণী যে।
জানি তারে আমি, তবু তারে নাহি জানি, যে।
শুধু বেদনায় অন্তরে পাই, অন্তরে পেয়ে বাহিরে হারাই—
আমার ভুবন রবে কি কেবলই আধা রে।
২৭০
অশান্তি আজ হানল একি দহনজ্বালা।
বিঁধল হৃদয় নিদয় বাণে বেদনঢালা।
বক্ষে জ্বালায় অগ্নিশিখা, চক্ষে কাঁপায় মরীচিকা—
মরণসুতোয় গাঁথল কে মোর বরণমালা।
চেনা ভুবন হারিয়ে গেল স্বপনছায়াতে
ফাগুনদিনের পলাশরঙের রঙিন মায়াতে।
যাত্রা আমার নিরুদ্দেশা, পথ হারানোর লাগল নেশা—
অচিন দেশে এবার আমার যাবার পালা।
২৭১
স্বপ্নমদির নেশায় মেশা এ উন্মত্ততা
জাগায় দেহে মনে একি বিপুল ব্যথা।